২০ মাঝিমাল্লাসহ নৌকাটি আছে মিয়ানমারে

বঙ্গোপসাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ২০ মাঝিমাল্লাসহ নিখোঁজ বাংলাদেশের নৌকা এফবি বাকলিয়া ফিশিং-১ এর খোঁজ পাওয়া গেছে। শনিবার বিকেলে মিয়ানমারের নৌবাহিনী তাঁদের উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের কোস্টগার্ড।

গত মঙ্গলবার থেকে ওই নৌকার সঙ্গে মালিকপক্ষের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। নিখোঁজ নৌকা ও মাঝিমাল্লার খোঁজে কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশের নৌবাহিনী বঙ্গোপসাগরে অভিযান চালিয়েছিল।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশনস) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমারের নৌবাহিনী নিখোঁজ নৌকা ও মাঝিমাল্লাকে খুঁজে পেয়েছে। সেন্টমার্টিন থেকে দুই ঘণ্টার দূরত্বে একটি চর থেকে নৌকাটি উদ্ধার হয়েছে বলে জেনেছি। রোববার তাঁদের হস্তান্তর করা হতে পারে।

কোস্টগার্ড ও নৌকার মালিকপক্ষের সূত্রে জানা গেছে, ২০ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে এফবি বাকলিয়া ফিশিং-১ নামের মাছ ধরার ওই নৌকা গত ১৬ জানুয়ারি কর্ণফুলী নদীর ফিশারীঘাট থেকে বঙ্গোপসাগরে যায়। ১৯ জানুয়ারি নৌকার মাঝি মোহাম্মদ বেলাল নৌকার মালিককে ফোনে জানান সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে গভীর সমুদ্রে ইঞ্জিন বিকল হয়ে নৌকাসহ তাঁরা ভাসছেন। এরপর ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় একইভাবে সাগরে ভাসার কথা জানান মাঝি। তবে তাঁরা সাগরের কোনো জায়গায় আছেন তা বুঝতে পারছেন না। এরপর থেকে মুঠোফোনে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

নিখোঁজ নৌকার সন্ধানে গত বুধবার আগ্রাবাদ সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরে লিখিত আবেদন জানায় মালিকপক্ষ। পরে ওই নৌকার খোঁজে সাগরে অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী। একপর্যায়ে এ বিষয়ে দূতাবাসের মাধ্যমে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ। পরে মিয়ানমারের নৌবাহিনী শনিবার বিকেলে সেখানকার একটি চর থেকে মাঝিমাল্লাসহ নৌকাটি উদ্ধার করে।

নিখোঁজ নৌকার মালিক মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘নৌকা ও মাঝিমাল্লার খোঁজ পেয়ে স্বস্তি পেলাম। তাঁদের ফিরে পাওয়ার আশায় আছি।’