চীনের উহানে নিরাপদে বাংলাদেশিরা, খোঁজ রাখছে দূতাবাস

চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এ পর্যন্ত দেশটির ৪০ জনের বেশি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। ছবি: রয়টার্স
চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এ পর্যন্ত দেশটির ৪০ জনের বেশি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। ছবি: রয়টার্স

চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে উহানে অবস্থান করা শ চারেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এখন পর্যন্ত নিরাপদে আছেন। সুরক্ষা দিতে তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে দূতাবাস। তাঁদের সুরক্ষার বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নিয়মিতভাবে দূতাবাসের আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশ দূতাবাস এ জন্য ২৪ ঘণ্টার হটলাইন (+৮৬১৭৮০১১১৬০০৫) চালু করেছে।

উহান শহরে গত দুদিনে আটকে পড়া শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশে ফিরে আসার আকুতি জানিয়ে দূতাবাসের সাহায্য চেয়েছেন। 

সংক্রামক ওই ব্যাধিতে এ পর্যন্ত চীনের ৪১ জন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। 

এ নিয়ে জানতে চাইলে বেইজিংয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব–উজ–জামান গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, এরই মধ্যে উহানে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দূতাবাস নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। এ ছাড়া বেইজিংয়ে বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রদূত ও দূতালয়প্রধান উহানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউচ্যাটে নিজেদের যুক্ত করেছেন। 

বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের হটলাইন নম্বরে ফোন করে জানা গেছে, দূতাবাস ফেসবুক পোস্টের পর উহানে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত (শনিবার রাত সাড়ে ৯টা) সেখানে বাংলাদেশের তিন শ থেকে চার শ শিক্ষার্থী ও গবেষক আছেন। তাঁদের সবাই সুস্থ আছেন। ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য উহানে শহরের গণপরিবহনব্যবস্থাও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

হটলাইনে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ দূতাবাসের ওই কর্মকর্তা জানান, এ মুহূর্তে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের অবহিত করছেন। এ পর্যন্ত সংক্রামক ওই ব্যাধিতে কোনো বিদেশি মারা যাননি।

উহানের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানিয়ে গত রাতে হুবেইয়ের স্টেট কি ল্যাবরেটরির শিক্ষার্থী জোবায়ের হক ফেসবুকে বলেন, ‘উহানে আমরা ৫০০-৬০০–এর মতো বাংলাদেশি, যাদের মধ্যে অনেকেই ছাত্র এবং পরিবার–সন্তান নিয়ে প্রচণ্ড আতঙ্কের মধ্যে প্রতি মুহূর্ত কাটাচ্ছি। অনেকে দেশে ফিরতে চাইলেও পারছে না। এমন ভয়ংকর পরিস্থিতিতে আমাদের অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।’

এদিকে, করোনাভাইরাসের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত শুক্রবার চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরের পাশাপাশি বেনাপোল স্থলবন্দরে স্ক্যানার বসিয়েছে। এর আগে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চটগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে স্ক্যানার বসানো হয়।