নিখোঁজের দুদিন পর ইজিবাইকচালকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ঝুলন্ত লাশ। ছবিটি প্রতীকী
ঝুলন্ত লাশ। ছবিটি প্রতীকী

যশোরের চৌগাছা উপজেলায় গত শুক্রবার বিকেলে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকসহ নিখোঁজ হয়েছিলেন চালক আবদুস শুকুর ওরফে রানা (২০)। নিখোঁজের দুদিন পর আজ রোববার সকালে তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

উপজেলার সুখপুকুরিয়া ও স্বরূপদাহ ইউনিয়নের সীমানায় কচুবিলা (সাঞ্চাডাঙ্গা) মাঠের একটি কলাখেতের মধ্যে থাকা ইপিলইপিলগাছে ঝুলছিল আবদুস শুকুরের লাশ।

আবদুস শুকুর উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের আড়সিংড়ি পুকুরিয়া গ্রামের জুলফিকার আলীর ছেলে।

পুলিশ ও কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, আজ সকালে স্থানীয় লোকজন ইপিলইপিলগাছে আবদুস শুকুরের লাশটি ঝুলতে দেখে চৌগাছা থানায় খবর দেন। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করে।

আবদুস শুকুরের মা পান্না বেগম জানান, গত শুক্রবার বিকেলে চৌগাছা উপজেলা সদর থেকে যাত্রী সেজে কে বা কারা আবদুস শুকুরের ইজিবাইক ভাড়ায় নিয়ে যান। সেদিন বিকেল থেকে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর রাতে যশোর শহরের নাইটগার্ড পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি আবদুস শুকুরের ফুফাতো ভাইয়ের মুঠোফোনে কল করে জানান, আবদুস শুকুর শহরে ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁরা তাঁকে ধরে রেখেছেন।

এরপর ওই ব্যক্তিকে আবদুস শুকুরের ফুফাতো ভাই অনুরোধ করে বলেন, ‘আপনারা ধরে রাখেন। আমরা তাঁকে নিতে আসছি।’ তখন ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা তাঁকে ছেড়ে দিয়েছি। তিনি তো চলে গেছেন।’

পান্না বেগম বলেন, ‘আজ সকালে এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে মাঠে গিয়ে দেখি আবদুস শুকুরের লাশ ঝুলছে।’ তিনি বলেন, ছয় মাস আগে একবার আবদুস শুকুরের ইজিবাইক ছিনতাই হয়ে যায়। কিছুদিন আগে তাঁকে আবার একটি ইজিবাইক কিনে দেওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, কিছুদিন আগে আবদুস শুকুর তাঁর ইজিবাইকে রাখা গাঁজাসহ আটক হন। পরে তিনি ছাড়া পান।

চৌগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম এনামুল হক বলেন, ‍‍মাটি থেকে প্রায় ২৫ ফুট ওপরে ইপিলইপিলগাছে আবদুস শুকুরের লাশ ঝুলছিল। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে মনে হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।