ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে সরিষাখেতে মধু চাষ
নড়াইলে রবিশস্য সরিষার সঙ্গে মৌমাছি পালন করে মধু চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এতে একদিকে যেমন সরিষার ফলন বাড়ছে, অন্যদিকে বাড়তি আয়ের উৎস হচ্ছে খাঁটি মধু। ফলে সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি মধু বিক্রি করেও কৃষক লাভবান হচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় চলতি বছর জেলায় সরিষাখেতে মধু চাষের এমন ২৫টি খামার গড়ে তোলা হয়েছে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। পাশাপাশি মধুরও ভালো উৎপাদন হবে বলে আশা তাঁদের। এদিকে সরিষাখেতে মৌ খামার করে মধু ও সরিষার সমন্বিত চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। নড়াইল কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় এ বছর প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে অর্ধেকই চাষ হচ্ছে লোহাগড়া উপজেলায়।
কালিয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা প্রবীর কুমার বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, সরিষাখেতে মৌমাছি থাকলে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০–৩৫ শতাংশ ফলন বাড়ে। কারণ হিসেবে তিনি জানান, মৌমাছি সরিষা ফুলে যে পরাগায়ন ঘটায়, তাতে সরিষার দানা ভালো হয় এবং ফলনও বাড়ে। যে সরিষাখেতে মৌমাছি নেই, সেখানে সরিষার ফলন বেশ কম হয়। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, এই এলাকায় আগে এভাবে মধু চাষের প্রচলন ছিল না । গত দুই বছর রোস্তম আলী নামের এক কৃষক সরিষাখেতে মধু চাষ করে ব্যাপক লাভবান হলে এভাবে সরিষা চাষের বিষয়টি এলাকায় সাড়া ফেলে। এ বছর কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় উপজেলায় ১০টি মৌ খামারে প্রায় ৩ হাজার মধু সংগ্রহের বাক্স বসিয়েছেন কৃষকেরা।
কৃষক রোস্তম আলী বলেন, ‘গত বছর ১০০টি মৌ বাক্স নিয়ে মধু সংগ্রহে জেলার বিভিন্ন স্থানে আমি তাঁবু ফেলি। এতে ১০ টন মধু পাই।’