নারীকে মারধর ও চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৭

যশোরের চৌগাছা উপজেলায় এক নারীকে (২৮) মারধর করে চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামীর করা মামলায় রোববার সন্ধ্যায় পাঁচ নারীসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার সাতজন হলেন উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের সলুয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম (৪৫) ও তাঁর ভাই ইমরান হোসেন (২৩), একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আজুফা বেগম (৪০), হাসান আলীর স্ত্রী শিউলী বেগম (২৬), আবদুস সালামের স্ত্রী রেহেনা বেগম (৪০), সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী বিউটি বেগম (৪২) ও জামাল হোসেনের স্ত্রী শাপলা বেগম (৩৫)।

এলাকাবাসী জানান, মাসখানেক আগে ওই নারীর সঙ্গে তাঁর স্বামীর পারিবারিক দ্বন্দ্ব হয়। গ্রাম্য সালিসে বিষয়টি মীমাংসা হয়। এ ঘটনার সূত্র ধরে প্রতিবেশী কয়েকজন নারী ও পুরুষ রোববার সকালে ওই নারীকে মারধর করেন এবং তাঁর চুল কেটে দেন। পরে ওই নারীকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী সকালে চৌগাছা থানায় পাঁচ নারীসহ নয়জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ওই নারীর স্বামীর লিখিত অভিযোগটিকে মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে আটক সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ওই নারীর স্বামী বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর এক মাস আগে পারিবারিক দ্বন্দ্ব হয়। এতে তাঁর স্ত্রী রাগ করে তাঁর বাবার বাড়িতে চলে যান। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় দুই চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় তাঁরা আবার সংসার শুরু করেন। রোববার সকালে স্থানীয় একটি বাজারে কাঁচামাল বিক্রি করতে যান। এর কিছুক্ষণ পর তাঁর ছেলে বাজারে এসে জানায়, কয়েকজন প্রতিবেশী তার মাকে মারধর করছেন। এ সময় তিনি দ্রুত বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এবং তাঁর মাথার চুল কাটা।

ওই নারী বলেন, তিনি নকশিকাঁথা, বিছানার চাদরসহ বিভিন্ন প্রকার হাতের কাজ করেন। এতে বেশ টাকা আয় করে তিনি সচ্ছলভাবে জীবন যাপন করেন। প্রতিবেশীদের ধারণা, তাঁর চরিত্র ভালো নয়। তাই তাঁরা তাঁকে বেদম মারপিট করে মাথার চুল কেটে দিয়েছেন।

চৌগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম এনামুল হক বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের সোমবার আদালতে পাঠানো হবে।