যশোরে অপহরণের পর শিশুকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

যশোরের চৌগাছায় সৌরভ সাহা (১০) নামের এক শিশুকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে বিল্লাল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২–এর বিচারক মাহমুদা খাতুন আজ সোমবার দুপুরে এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত বিল্লাল পলাতক। তিনি চৌগাছা উপজেলার চিতাম্বরপুর গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ৯ জুলাই দুপুরে টিফিনের সময় সৌরভ স্কুল থেকে বাড়িতে আসে। খেয়ে সে আবার স্কুলে যায়। এরপর বেলা আড়াইটার দিকে অপরিচিত নম্বর থেকে তার বাবার মুঠোফোনে কল আসে। বলা হয়, সৌরভকে অপহরণ করা হয়েছে। পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে ঝিনাইদহে এলে সৌরভকে ছেড়ে দেওয়া হবে। অপহরণের ঘটনা র‌্যাব-পুলিশকে জানালে সৌরভকে হত্যা করা হবে বলেও ফোনে হুমকি দেওয়া হয়। পরদিন ১০ জুলাই রাতে সৌরভের বাবা স্বপন সাহা চৌগাছা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই রাতে চৌগাছা উপজেলার চিতাম্বরপুর গ্রাম থেকে পুলিশ বিল্লাল হোসেনকে আটক করে। বিল্লালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পরদিন ১১ জুলাই সকালে উপজেলার গরীবপুর গ্রামের একটি পাটখেত থেকে সৌরভ সাহার লাশ উদ্ধার করা হয়। তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পাটখেতে ফেলে রাখা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

কৌঁসুলি এম ইদ্রিস আলী জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত বিল্লাল হোসেনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। বিল্লাল হোসেন পলাতক। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর পাঁচ আসামিকে খালাস দেন।