চারঘাটে স্কুলছাত্রকে পেটানোর অভিযোগ, ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় এক স্কুলছাত্রকে পেটানোর অভিযোগে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ সোমবার চারঘাট থানায় স্কুলছাত্রের মা বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

আহত শিক্ষার্থীর নাম মুস্তাফিজুর রহমান। উপজেলার পরানপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা রয়েছে তার। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন চারঘাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ রানা। এদিকে মুস্তাফিজুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে আন্তস্কুল ক্রিকেট খেলায় ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ রানা ও মুস্তাফিজুরের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে বেশ কিছুদিন থেকেই ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ রানা মুস্তাফিজুরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মুস্তাফিজুরের পরিবারের পক্ষ থেকে চারঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়। গতকাল রোববার বিকেলে মুস্তাফিজুর উপজেলার পরানপুর বাজারে প্রাইভেট পড়তে গেলে মাসুদ রানা ও তার ভাগনে সাব্বির তাকে পেটানো শুরু করেন। একপর্যায়ে মুস্তাফিজুর প্রাইভেট সেন্টারের ভেতরে ঢুকে গেলে সেখানে ঢুকেই তাকে হাতুড়ি ও রড দিয়ে পেটানো হয়। এরপর স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মুস্তাফিজুর রহমানের মা মঞ্জেরা বেগম বাদী হয়ে আজ সোমবার চারঘাট থানায় একটি মামলা করেন।

পরানপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৩ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ে ক্রিকেট খেলা হয়েছিল। তখন একটা ঝামেলা হয়েছিল। এ নিয়ে হুমকি দেওয়ায় ছেলেটির নিরাপত্তার জন্য চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়েছিল। থানায় জিডিও করা হয়েছিল। তারপরও ছেলেটাকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হলো।

এ ব্যাপারে চারঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল মামুনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি রাজনৈতিক নয়। মাসুদ রানাকে ওই ছেলে পেছন থেকে ব্যাগ দিয়ে বাড়ি দিয়ে পালিয়েছিল। ওই ঘটনার জেরে অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাটি যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে, আসলে সে রকম নয়।

চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সমিত কুমার কুণ্ডু প্রথম আলোকে বলেন, স্কুলছাত্রকে হাতুড়িপেটা করার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ছেলেটির মাথায় আঘাত করা হয়েছে। মামলার পর থেকে আসামি পলাতক। তাঁকে ধরার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।