নোয়াখালীতে পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' ডাকাত সর্দার নিহত

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আনোয়ার হোসেন ওরফে ইউছুফ (৪৪) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, নিহত আনোয়ার হোসেন ডাকাত সর্দার ছিলেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের বীরকোট এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে।

থানা সূত্র জানায়, নিহত ইউছুফের গ্রামের বাড়ি বেগমগঞ্জ উপজেলার লাউতলী এলাকায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ‘ডাকাত সর্দার’ ইউছুফের বিরুদ্ধে ডাকাতির ঘটনায় সাতটি, ডাকাতির প্রস্তুতির ঘটনায় তিনটি, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি ও চুরির অভিযোগে একটি মামলা রয়েছে।

ওসি বলেন, সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ডাকাতির ঘটনায় করা মামলার পলাতক আসামি ও আন্তজেলা ডাকাত সর্দার আনোয়ার হোসেন ওরফে ইউছুফকে বেগমগঞ্জের জমিদারহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সেনবাগ থানা-পুলিশের একটি দল। জিজ্ঞাসাবাদে ইউছুফ রাতে সেনবাগের বীরকোট এলাকার তাঁর দলের একটি ডাকাতির প্রস্তুতির তথ্য দেন। এর পর পুলিশের ওই দলটি ইউছুফকে নিয়ে তাঁর সহযোগীদের ধরতে বীরকোট এলাকায় যায়।

ওসির তথ্যমতে, দিবাগত রাত তিনটার দিকে ইউছুফকে নিয়ে বীরকোট এলাকায় যাওয়া মাত্র সহযোগীরা টের পেয়ে পুলিশেকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। দুই পক্ষের গোলাগুলিতে একপর্যায়ে নিজের সহযোগী ডাকাতদের গুলিতে ইউছুফ গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানায়, বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি পিস্তলের গুলি, চারটি কার্তুজ, তিনটি রাম দা, একটি টর্চ লাইট, একটি গ্যাস লাইটার উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের তিনজন কনস্টেবল আহত হয়েছে। তাঁদের একই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁর লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।