৮ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, দুজনের যাবজ্জীবন

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় স্কুলছাত্রী সীমা হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০আসামির মধ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। অপর দুই আসামির দণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রায় দেন।

ওই মামলায় ২০১৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মঞ্জুরুল বাছিদ রায় দেন। ২৫ আসামির মধ্যে রায়ে ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও বাকিদের খালাস দেওয়া হয়। পরে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ওই বছরই ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। আসামিরা জেল আপিল ও আপিল করেন। এসবের ওপর শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা আট আসামি হলেন নুর আলম, নুর নবী, চৌকিদার হেদায়েত উল্যা, হীরণ, সুমন, মানিক হোসেন, সাদ্দাম হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম। মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন আনোয়ার হোসেন ও সোহেল। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সুমন, মানিক, রাশেদুল ও সাদ্দাম পলাতক।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুল ইসলাম, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শামসুন্নাহার লাইজু ও ফারহানা আফরোজ। দুজন আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্র নিযুক্ত হিসেবে আসামিদের হয়ে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এস এম শফিকুল ইসলাম ও হাফিজুর রহমান খান।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৮ জুলাই সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের বসুদৌহিতা গ্রামের লক্ষ্মণচন্দ্র দেবনাথের ঘরে ২০-২৫ জন মুখোশধারী ডাকাত দল হানা দেয়। তারা ঘরের সবাইকে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। একই সময় লক্ষ্মণের মেয়ে সীমা রানী দেবনাথকে ঘরের একটি কক্ষে আটকে গণধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ডাকাত দল। তখন সীমা প্রতাবগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এ ঘটনায় পরের দিন সীমার দাদা কৃষ্ণচন্দ্র দেবনাথ বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৫ মার্চ ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।