পদ্মা সেতুর সব স্প্যান জুলাইয়ের মধ্যে বসবে, সংসদে সেতুমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: ওবায়দুল কাদেরের ফেসবুক থেকে নেওয়া
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: ওবায়দুল কাদেরের ফেসবুক থেকে নেওয়া

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে পদ্মা সেতুর সব কটি স্টিলের কাঠামো (স্প্যান) বসানোর কাজ সম্পন্ন হবে।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সাংসদ দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ২০টি ইতিমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। বাকি ২১টি আগামী জুলাইয়ের মধ্যে স্থাপন করা হবে। গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি ৭৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এর মধ্যে মূল সেতুর কাজের ভৌত অগ্রগতি ৮৫ দশমিক ৫ শতাংশ। নদীশাসনকাজের অগ্রগতি ৬৬ শতাংশ। আগামী বছরের জুন মাসে এ সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন-পার্সোনালাইজড ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ডের স্বল্পতার কারণে স্বাভাবিক গতিতে লাইসেন্স কার্ড প্রিন্ট করা সম্ভব হচ্ছে না। শুধু বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ প্রয়োজনে (ভিসা/বিদেশ যাত্রা/চাকরির আবেদন) দৈনিক নির্ধারিত সিলিং অনুযায়ী লাইসেন্স কার্ড প্রিন্ট ও সরবরাহ চলমান আছে। আন-পার্সোনালাইজড কার্ডের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র চলমান আছে। এটি সম্পন্ন হলে প্রত্যাশীদের যথাসময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা সম্ভব হবে।

সরকারি দলের নাছিমুল আলম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, মোটরযানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে গত বছর ২৩ হাজার ৫৪১টি মামলা দায়ের করে চার কোটি ৫৪ লাখ ৮১ হাজার ৪৩০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ সময়ে ৩০৪ জনকে কারাদণ্ড ও ১৯৮টি গাড়ি ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানো হয়েছে।

সংরক্ষিত আসনের সাংসদ লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম রেল দুর্ঘটনার কিছু কারণ তুলে ধরেন। এসব কারণের মধ্যে আছে জনবলসংকটের কারণে ট্র্যাক, কোচ, ব্রিজ ইত্যাদি রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, অবৈধ লেভেল ক্রসিং দিয়ে অনিয়ন্ত্রিত সড়ক যান পারাপার, রেলওয়ে ইঞ্জিন বিকলতা, ট্রেন থেকে যাত্রীদের পড়ে যাওয়া বা লাফ দেওয়া, টেলিফোন ব্যবস্থার বিকলতা, পয়েন্ট ফেটে যাওয়া, ট্রেন পার্টিং, লাইন চ্যুতি, রেলগাড়িসংক্রান্ত ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ইত্যাদি।