কিশোরগঞ্জের সাংসদ আফজালের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক

আফজাল হোসেন
আফজাল হোসেন

কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনের সরকারদলীয় সাংসদ মো. আফজাল হোসেনের সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুদকের ক্যাসিনো–কাণ্ড ও বড় আকারের দুর্নীতিবিরোধী অনুসন্ধান দলকে।

দুদকের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ক্ষমতাসীন দলের এই সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে ও বেআইনি কার্যক্রম চালিয়ে এখন শতকোটিরও বেশি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক। জেলার বাজিতপুর-নিকলী আসনে টানা তিনবার সাংসদ হয়ে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ঘুষ, দুর্নীতি, অবৈধভাবে নদীর বালু উত্তোলন, জমি দখলসহ নানাভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি। নিজের এলাকার বাইরে রাজধানী, এমনকি বিদেশেও রয়েছে তাঁর সম্পদ।

গত বছরের শেষ দিকে দুদকের হাতে আসা অভিযোগে বলা হয়েছে, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, সাংসদ নূরুন্নবী শাওনের সঙ্গে আফজাল হোসেনের সংশ্লিষ্টতা আছে। ২০০৮ সালের আগে তাঁর উল্লেখ করার মতো কোনো সম্পদ না থাকলেও গত ১১ বছরে তার নামে-বেনামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে জ্যামিতিক হারে।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, অভিযোগ পেয়ে দুদকের গোয়েন্দা শাখা ও ক্যাসিনোবিরোধী দল ওই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে এবং অভিযোগের পক্ষে প্রচুর তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন এই সাংসদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।

দুদক সূত্র বলছে, চলমান শুদ্ধি অভিযানে দুদকের অনুসন্ধান তালিকায় অন্তত ২০০ জনের নাম আছে। ওই তালিকায় এর আগে সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, পঙ্কজ নাথ, নজরুল ইসলাম বাবুসহ অনেক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও আমলার নাম যুক্ত হয়। এবার নতুন করে সাংসদ আফজালের নাম যুক্ত হলো।

২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার আগে আফজাল হোসেনের আওয়ামী লীগের সদস্যপদ পর্যন্ত ছিল না। দলের একটা বড় অংশের বিরোধিতার মধ্যেই তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। পরে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি সাংসদ হন।