ঘাটাইলে তিন স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলা: দুই আসামির স্বীকারোক্তি

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে তিন স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও আরেক ছাত্রী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি দেওয়ার পর ওই দুজনসহ তিন আসামিকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘাটাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল সোমবার সন্ধানপুর গ্রামের বাবুল (২১), সবুজ (৩০) এবং মানাজিটানপাড়া গ্রামের ইউসুফ আলী খানকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে ইউসুফ ও বাবুল আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁদের টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার কর্মকার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। অপর আসামি সবুজ জবানবন্দি দেননি। পরে তিনজনকেই জেলহাজতে পাঠানো হয়।

এদিকে গতকাল সোমবার রাতে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার তিন স্কুলছাত্রী এবং লাঞ্ছনার শিকার অপর স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। পরে তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার জন্য আজ বিকেলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়। আজ সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা হাসনাত এবং নওরিন মাহবুবার আদালতে তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ হচ্ছিল। কোর্ট ইন্সপেক্টর তানভীর আহমেদ আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীদের জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত রোববার দুপুরে ঘাটাইলের একটি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির চার ছাত্রী তাদের দুই বন্ধুকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে সন্ধানপুর ইউনিয়নের কাতরা বন এলাকায় ঘুরতে যায়। এ সময় ওই এলাকার কয়েকজন জন যুবক তাদের পিছু নেন। একপর্যায়ে ওই যুবকেরা ছাত্রীদের দুই বন্ধুকে মারধর করে তিন ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন এবং অপর ছাত্রীকে লাঞ্ছনা করেন। গতকাল সোমবার দুপুরে ধর্ষণের শিকার এক ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা গেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।