দরজির দোকানে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় একটি দরজির দোকানে আট বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে গতকাল রাতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে আবুল খায়ের (৪৫) নামের এক দরজিকে আটক করেছে।

শিশুটি স্থানীয় একটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটির পাশে থাকা নানি তাঁর দেওয়া তথ্য উল্লেখ করে আজ বুধবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বেলা একটার দিকে তাঁর নাতনি বয়সে ছোট খালাতো বোনসহ খালার বাড়িতে যাচ্ছিল। ওই সময় দরজি আবুল খায়ের শিশুটির সঙ্গে থাকা খালাতো বোনের পরনের জামার মাপ নেওয়ার কথা বলে তাদের দুজনকে ডেকে দোকানের ভেতর নিয়ে যান। একপর্যায়ে ওই দরজি তাকে হাত ধরে টেনে দোকানে থাকা টেবিলের পেছনে নিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। এ সময় সে ও তার ছোট বোন কান্নাকাটি করলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর ৫০০ টাকা দেওয়ার কথা বলে ঘটনাটি কাউকে বলতে নিষেধ করে।

শিশুটির নানির ভাষ্য, তার নাতনির বাবা নেই। চার বোনের একজন সে। তিনি গ্রাম থেকে ভিক্ষা করে গতকাল বিকেলে মেয়ের বাড়িতে ফেরেন। সন্ধ্যার পর তিনি নাতনিকে ডাকার পর সে বসা থেকে উঠতে পারছিল না বলে জানায়। পরে কারণ জিজ্ঞেস করলে ঘটনা খুলে বলে। এরপর তিনি এক পুরুষ প্রতিবেশী ও নাতনিকে নিয়ে ওই দরজির দোকানে গেলে নাতনি ওই দরজিকে শনাক্ত করে। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় রাতে নাতনিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন-অর-রশিদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে শিশু ধর্ষণের ঘটনা শোনার পরই তিনি পুলিশের দুটি দলকে আবুল খায়েরকে আটক করার জন্য পাঠান। রাত ১২টার দিকে পুলিশ তাঁকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটক ব্যক্তি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের চেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার শিশুর পরিবারকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে গতকাল রাতে অসুস্থ একটি শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ভর্তির পর তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আরএমও বলেন, শিশু ও স্বজনদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকি পরীক্ষা আজ করা হবে।