করোনাভাইরাসের কারণে পদ্মা সেতুর কাজে অসুবিধা হবে না: কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজে কোনো অসুবিধার সৃষ্টি হবে না।

আজ বুধবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘চীন থেকে যাঁরা আমাদের দেশে আসছেন, তাঁদের ব্যাপারে আমাদের নজরদারি আছে। আমরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতিমধ্যে যাঁরা এসেছেন, নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের ১৪ দিন সব কর্মকাণ্ডের বাইরে রাখা হয়েছে। এতে আমাদের পদ্মা সেতুর কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বিঘ্নিত হবে না।’

পদ্মা সেতুতে প্রায় এক হাজার চীনা শ্রমিক-কর্মী কাজ করেন উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁদের মধ্যে ১৫০ জন শিফটিং ছুটিতে থাকেন। ভাইরাসের কারণে আমাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বা পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজে কোনো অসুবিধা সৃষ্টি হবে না।’

সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্র পাহারার নামে সন্ত্রাসীরা পরিবেশ বিঘ্নিতœকরতে পারে—এমন খবর রয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো আছে। একটা বিষয় খুব উদ্বেগজনক, সেটা হচ্ছে নির্বাচনকে সামনে রেখে বহিরাগতদের জড়ো করা। অস্ত্রধারীরাও এর মধ্যে আছে। তিনি আরও বলেন, খবর আছে, নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে পাহারার নামে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পরিবেশ বিঘ্নিত করতে পারে। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দিতে পারে। এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের কাছে ইনফরমেশন আছে, বিএনপি বহিরাগতদের এনে ঢাকায় জড়ো করছে। এদের মধ্যে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, দাগি সন্ত্রাসীরাও রয়েছে। এটা সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে। সে কারণে আমরা এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য এবং বিষয়টি নজরদারিতে আনার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছি।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বহিরাগতদের নজরদারিতে রাখতে হবে। অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত অপরাধীদের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে কাজে লাগতে হবে, যাতে এরা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে বাধা না হয়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তো নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত। নির্বাচন কমিশন যেভাবে আদেশ দেবে, নিয়ন্ত্রণ করবে, তারা সেভাবে চলবে। আওয়ামী লীগবিরোধী শক্তির একটা প্ল্যাটফর্ম বিএনপি। কাজেই এই শক্তিকে একেবারে দুর্বল বা ভঙ্গুর বলা সমীচীন নয়। তাদেরও সমর্থন আছে। দলের অবস্থা খারাপ থাকলে সন্ত্রাসী থাকবে না, এমন তো নয়। তাদের সমর্থক সারা বাংলাদেশে আছে, এটা হলো বাস্তবতা।

নির্বাচনের প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘অবশ্যই আমরা একটা উৎসবমুখর ভালো নির্বাচন আশা করি। মানুষ ভোট দিতে চায়, তাদের ভোট দেওয়ার আগ্রহ আছে। কাজেই জনগণ যাকে খুশি, তাকে যেন ভোট দিতে পারে—এটাই আমাদের চাওয়া। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। একই সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর এখানে একটা ভূমিকা থাকা দরকার। আমরা সরকারি দল হিসেবে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত।’