নির্বাচনের ন্যূনতম লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনো হয়নি: মোশাররফ

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। পাশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন। ছবি: মোহাম্মদ মোস্তফা
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। পাশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন। ছবি: মোহাম্মদ মোস্তফা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনের ন্যূনতম লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনো ঠিক হয়নি। ‌তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও বিগত সকল নির্বাচনের মতো যেন তামাশা ও প্রহসনের পরিণত না হয়।

আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার শেষ হওয়ার আগের দিন আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বললেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলন হয়। খন্দকার মোশাররফ বিএনপি নেতা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

গত ২ জানুয়ারি প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শেষ পর থেকে গতকাল পর্যন্ত দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যেসব ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের ওপর হামলা, তাদের জনসংযোগের বাধা ও দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করার ঘটনা গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি ধানমন্ডি এলাকায় গণসংযোগ শেষে বাসায় ফেরার পথে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী মেহেরুন নেছার নির্বাচনী অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করেছে আওয়ামী লীগ ও কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকেরা। হামলায় প্রার্থীর ছেলেসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বিএনপির প্রার্থী ছেলে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মোশাররফ বলেন, গত ২৫ শে জানুয়ারি সন্ধ্যায় পুরোনো ঢাকার হোসেনী দালানের মেইন গেটের সামনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী ধানের শীষে মাইক ভাঙচুর ও প্রচার কাজে নিয়োজিত প্রচার কর্মী এবং রিকশা চালককে মারধর করেছে।

২৬ শে জানুয়ারি টিকাটুলিতে বিএনপি কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা উল্লেখ করে মোশাররফ বলেন, এত বড় একটি ঘটনার পরও নির্বাচন কমিশন থেকে ন্যূনতম কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। উপরন্তু তাদের দলের প্রায় ২০০ নেতা-কর্মীর নামে মামলা দিয়ে তাদের বাসা বাড়ি ছাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তা ছাড়া প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, একচোখা নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের ন্যক্কারজনক আচরণ ও ভূমিকায় এই নির্বাচনকেও যদি গতানুগতিক প্রহসনের নির্বাচনে পরিণত করা হয়, তাহলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়-দায়িত্ব সরকার ও একচোখা নির্বাচন কমিশনকেই বহন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ভোটারদের উদ্দেশে ইশরাক হোসেন বলেন, আপনারা সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। শেষ মুহূর্তে এসে আমি কোনো অভিযোগ-অনুযোগ দিতে চাই না। কী হয়েছে গণমাধ্যমের কল্যাণে নগরবাসী দেখেছে।