রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগে তিনজন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে তিন শিক্ষককে দেওয়া নিয়োগও বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ বুধবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

গত বছরের ৩০ জুলাই ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশ ছাড়াই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করেন প্ল্যানিং কমিটির সদস্য আলী আসগর। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ২১ আগস্ট হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।

রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন কুমার বড়ুয়া ও ফুয়াদ হাসান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. কামরুজ্জামান।

পরে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৬ সালে ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের তিনটি শূন্য পদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে ৩৮ জন আবেদন করেছিলেন, তবে তা আর এগোয়নি। ২০১৯ সালে নতুন আরেকটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশ ছাড়াই প্রভাষক পদে আবেদনের জন্য যোগ্যতা শিথিল করা হয়-এমন প্রেক্ষাপটে ওই রিটটি করা হয়। রুল বিচারাধীন অবস্থায় চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় নতুন বিজ্ঞপ্তির আলোকে তিন শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়। হাইকোর্ট তিনজনের নিয়োগ বাতিল ঘোষণা করেছেন। ২০১৯ সালের ওই বিজ্ঞপ্তি অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তির আলোকে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রথম আলোর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, গত ২৬ জানুয়ারি উপাচার্যের বাসভবনে নিয়োগ সাক্ষাৎকার শেষে সন্ধ্যায় সিন্ডিকেট সভায় তিনজনের নিয়োগ অনুমোদন করা হয়েছিল। তিন শিক্ষক হলেন-শামসুন্নাহার, মুখতার হোসেন ও রেজভী আহমেদ ভুঁইয়া।