স্বেচ্ছাসেবার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার তাগিদ

প্রথম আলোর সভাকক্ষে ‘স্বেচ্ছাসেবা: আজ ও আগামীকাল’ শীর্ষক বৈঠকের আয়োজন করে প্রথম আলো। ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন
প্রথম আলোর সভাকক্ষে ‘স্বেচ্ছাসেবা: আজ ও আগামীকাল’ শীর্ষক বৈঠকের আয়োজন করে প্রথম আলো। ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

পরার্থে জীবন-কর্ম উৎসর্গ করার ঐতিহ্য বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের। বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানো এই দেশের মানুষের অহংকার। সেই ঐতিহ্য ও অহংকারকে ফিরিয়ে আনার জন্য স্বেচ্ছাসেবার ব্রত ও কর্মকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার।

এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন স্বেচ্ছাসেবার সঙ্গে জড়িত ২৩টি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবীরা। আজ বুধবার প্রথম আলোর সভাকক্ষে ‘স্বেচ্ছাসেবা: আজ ও আগামীকাল’ শীর্ষক বৈঠকের আয়োজন করে প্রথম আলো।

বৈঠকে প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক নিজের শিক্ষাজীবনে কচিকাঁচার আসরে যুক্ত থাকার স্মৃতিচারণা করে বলেন, উপমহাদেশের সামাজিক শক্তি অনেক সময় রাষ্ট্রীয় শক্তিকে ছাড়িয়ে যায়। এর কারণ হলো মানুসের যূথবদ্ধতা, মানুষের পাশে মানুষের দাঁড়ানোর শক্তি। কিন্তু আগের চেয়ে বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবীর সংখ্যা কমে আসছে।

বাংলাদেশে জাতিসংঘ স্বেচ্ছাসেবকের প্রধান আক্তারউদ্দিন বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনের মতো আমাদের দেশেও স্বেচ্ছাসেবার রাষ্ট্রীয় নীতিমালা প্রয়োজন।’

ভলান্টারি সার্ভিসেস ওভারসিস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফোরকান উদ্দিন মনে করেন, স্বেচ্ছাসেবকদের কাজের স্বীকৃতি তাঁদের আরও বেশি স্বেচ্ছাসেবায় এগিয়ে আনবে।

বৈঠকে স্বেচ্ছাসেবার জাতীয় মানদণ্ড, এর নীতিমালা, স্বেচ্ছাসেবীদের কাজকর্মে প্রশাসনের সহযোগিতা, স্বেচ্ছাসেবকদের কাজের স্বীকৃতি এবং পরস্পরের মধ্যে সম্পর্কে জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ড্রিমস ফর টুমরোর প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ পারভেজ, ভিএসও বাংলাদেশের মাহজাবিন ইকবাল, ইয়ুথ এম্পাওয়ারমেন্ট ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা কাজী হাসান রবিন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ফারুখ আহমেদ, মজার ইশকুলের নির্বাহী পরিচালক আরিয়ান আরিফ, সোশ্যাল চেইন ফর ডেভেলপমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আমিনুল ইসলাম, ট্রমালিংকের প্রতিষ্ঠাতা জন মুসলে ও উপদেষ্টা বিধান চন্দ্র পাল, দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের প্রোগ্রাম অফিসার আমজাদ হোসাইন, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের প্রধান সমন্বয়কারী মাহবুবা সুলতানা, মুক্ত আসরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু সাঈদ, ঋতুর প্রতিষ্ঠাতা শারমিন কবীর, ফোরাম এসডিএর রাফায়েত রোমান, ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্টের (ইয়েস) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, ঘুড্ডি ফাউন্ডেশনের মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, আলোকিত শিশুর প্রতিষ্ঠাতা মিঠুন দাস, বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের শহীদ হোসাইন, সিআরএএফের জেনিফার আলম, প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশনের ইয়াসির আরাফাত, হিমু পরিবহনের আহসান হাবীব, ট্রাভেলেস অব বাংলাদেশের মুনতাহা অর্থী, প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক ফিরোজ চৌধুরী, ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন বিভাগের প্রধান কবির বকুল ও প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি সাইদুজ্জামান রওশন। বৈঠক সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর যুব কার্যক্রমের প্রধান মুনির হাসান।