খুন করে সড়ক দুর্ঘটনার গল্প: কবর থেকে ছাত্রীর লাশ উত্তোলন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ময়নাতদন্তের জন্য দাফনের ১১ দিন পর আজ বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জের এসএসসি পরীক্ষার্থী মাদিনাতুল কোবরা জেরিনের (১৬) লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে।

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল মাদিনাতুল। ১৮ জানুয়ারি সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিল সে। পরে খবর আসে অটোরিকশা থেকে পড়ে সে গুরুতর আহত হয়েছে। হাসপাতালে এক দিন পর সে মারা যায়। পরিবারও মেনে নিয়েছিল, মাদিনাতুল সড়ক দুর্ঘটনাতেই মারা গেছে। এভাবে সড়ক দুর্ঘটনার গল্প সাজিয়ে আসল ঘটনা আড়াল করেন আসামিরা। তবে অটোরিকশাটির খোঁজ করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে আসল কাহিনি। মাদিনাতুলকে অপহরণের চেষ্টা করছিলেন তিন তরুণ। তাঁদের হাত থেকে রেহাই পেতে চলন্ত অটোরিকশা থেকে ঝাঁপ দিয়েছিল সে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই তরুণেরা সড়ক দুর্ঘটনার গল্প ফাঁদেন। 


মাদিনাতুল হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধল গ্রামের আবদুল হাইয়ের মেয়ে। সে স্থানীয় রিচি উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা ছিল মেয়েটির। এ ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়া জাকির হোসেনও (২৫) ধল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২১ জানুয়ারি হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এ বিষয়ে প্রথম আলোয় ২২ জানুয়ারি ‘সড়ক দুর্ঘটনাটা ফাঁদা গল্প, আসল কাহিনি অপহরণ’ শিরোনামে একটি সংবাদ ছাপা হয়।

এদিকে আদালতের নির্দেশে ঘটনার ১১ দিন পর আজ দুপুর ১২টার দিকে হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানার নেতৃত্বে একদল পুলিশ মাদিনাতুলের লাশ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধল গ্রাম থেকে তোলেন।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং হত্যা মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মাসুক আলী প্রথম আলোকে বলেন, লাশটি উদ্ধারের পর পুলিশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।