আশুলিয়ায় এসএসসির প্রবেশপত্র না পেয়ে স্কুলে হামলা

আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ঠিক সময়ে না পেয়ে ঢাকার আশুলিয়ায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করেছে পরীক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল রেসিডেনসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এই ঘটনা ঘটে। এতে অধ্যক্ষসহ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারী আহত হয়েছেন। এই ঘটনার পর বিকেলে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়। 

আশুলিয়া থানার পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বহিরাগতসহ অর্ধশত এসএসসি পরীক্ষার্থী লাঠি ও রড নিয়ে ইউনিক এলাকায় ওই প্রতিষ্ঠানের স্কুল শাখায় হামলা চালায়। একপর্যায়ে কলেজ ও অধ্যক্ষের বাসায় ভাঙচুর চালানো হয়।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে টাঙ্গাইল রেসিডেনসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কয়েকটি ক্যাম্পাস রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের দায়িত্বে মোহাম্মদ আবদুল লতিফ। কিন্তু ভাইদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে গত বছরের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানগুলো ভাগ হয়ে যায়। আশুলিয়ার ইউনিক এলাকার স্কুল শাখার মূল ক্যাম্পাসসহ কলেজ পরিচালনার দায়িত্ব পান মোহাম্মদ আবদুল লতিফ। এই ক্যাম্পাস থেকে এবার ২৮৪ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ মোট চারটি স্কুলের ১ হাজার ২৯৭ জন পরীক্ষার্থী আশুলিয়ার গণবিদ্যাপীঠ স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে। গণবিদ্যাপীঠ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব ইসাহাক হোসেন শিক্ষা বোর্ড থেকে তাঁর কেন্দ্রের সব পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র উত্তোলন করেন। পরে তিনি দ্বন্দ্ব থাকা টাঙ্গাইল রেসিডেনসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র বাদে বাকিগুলো অন্য তিন বিদ্যালয়ের প্রধানদের কাছে পৌঁছে দেন। কেন্দ্র সচিব এই প্রতিষ্ঠানের ২৮৪ জন পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুন্নাহারের কাছে জমা দেন। পরে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গত কয়েক দিনে ১৮৫ জন পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র বিতরণ করেন। কিন্তু ৯৯ জন পরীক্ষার্থী গতকাল বুধবার পর্যন্ত তাদের প্রবেশপত্র না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে। এমন অবস্থায় এই হামলার ঘটনার ঘটল হয়।

টাঙ্গাইল রেসিডেনসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবদুল লতিফের অভিযোগ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ‘অযাচিত হস্তক্ষেপের’ কারণে যথাসময়ে প্রবেশপত্র না পেয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হামলা চালায়।

অবশ্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুন্নাহার বলেছেন, প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রবেশপত্র না দিয়ে তাঁর দপ্তর থেকে বিতরণ করা হয়। হামলার সঙ্গে প্রবেশপত্র বিতরণের কোনো সম্পর্ক নেই।