প্রেমের ফাঁদে ফেলে গণধর্ষণ, চার তরুণের স্বীকারোক্তি

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মুঠোফোনে এক তরুণের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল কিশোরীটি। দেখা করার কথা বলে গত মঙ্গলবার তাকে মধুমতী নদীর তীরের একটি চরে নিয়ে যান ওই তরুণ। এরপর পাঁচজন মিলে তাকে ধর্ষণ করেন। প্রেমের ফাঁদে পড়ে গণধর্ষণের শিকার এই কিশোরী পরদিন নিজেই থানায় মামলা করে। পরে গতকাল বুধবার পুলিশ অভিযুক্ত পাঁচজনের চারজনকেই গ্রেপ্তার করে। আজ বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ওই অভিযুক্ত তরুণেরা।


ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ঘটে যাওয়া গণধর্ষণের এই ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনের বয়স ১৬ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে দুজন অপ্রাপ্তবয়স্ক (বয়স ১৮ বছরের কম)। তাই তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হলো না। অভিযুক্ত সবচেয়ে কম বয়সী কিশোরের বয়স ১৬ বছর, সে পলাতক। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন নাসির মোল্লা (২০), তারক মণ্ডল (১৯) ও নাসির (৩০)। গণধর্ষণের শিকার কিশোরীটি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত কথিত প্রেমিক নাসির মোল্লাসহ চারজন আদালতে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর আদালতের নির্দেশে তাঁদের সন্ধ্যায় জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার নাসির মোল্লার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল কিশোরীটির। এই সুযোগে তাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন গ্রেপ্তার চারজন। মামলার অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।