ব্রহ্মপুত্রে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ৫০ টিরও বেশি মরা গরু

ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ও বেশ কিছু ডুবোচরে অর্ধশতাধিক মৃত গরু পড়ে আছে। যাত্রাপুর এলাকা, কুড়িগ্রাম, ৩০ জানুয়ারি। ছবি: সংগৃহীত
ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ও বেশ কিছু ডুবোচরে অর্ধশতাধিক মৃত গরু পড়ে আছে। যাত্রাপুর এলাকা, কুড়িগ্রাম, ৩০ জানুয়ারি। ছবি: সংগৃহীত

ভারত থেকে পাচার হয়ে আসা অর্ধশতাধিক গরু মরে পড়ে আছে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ও বেশ কিছু ডুবোচরে মরা গরুগুলো পড়ে থাকতে দেখা যায়।

রাতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানিতে ভেসে আসা এসব গরু প্রচণ্ড ঠান্ডায় মারা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় একটি ঘাটের মাঝি মো. শাহ্ আলম বলেন, ‘সীমান্তে আগে কাঁটাতারের ওপর দিয়ে চাঙে করে গরু পার করা হতো। এখন কড়া পাহারা ও বিএসএফের গুলির ভয়ে ভারতের ব্রহ্মপুত্রের উজান থেকে গরু কাশিয়ার বোঝার সঙ্গে বেঁধে ছেড়ে দেয় চোরাকারবারিরা। রাতে প্রচণ্ড শীতে ডুবোচরে গরুগুলো আটকা পড়ে মারা গেছে।’

চর ভগবতী পুরের জলিল মোল্লা বলেন, তাঁর বাড়ির পাশের দুটি ডুবোচরে অর্ধশতাধিক গরু মরে পড়ে আছে। প্রতিদিনই এর সংখ্যা বাড়ছে। এতে মরা গরু পচে পানি দূষিত হচ্ছে। ফলে দুর্গন্ধে নদের পারেই আসা যাচ্ছে না।

যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী সরকার বলেন, অর্ধশতাধিক গরু মরার ঘটনায় পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। গরু পাচার রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি মৃত গরুগুলো অপসারণ করে পরিবেশ রক্ষার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির পরিচালক মোহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, ‘দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়া নজরদারির মধ্যেও নদীপথে ভিন্ন কৌশলে চোরাকারবারিরা গরু পাচার করায় অনেক গরু মারা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা সচেতন রয়েছি এবং জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি।’

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন বলেন, পরিবেশ রক্ষায় মরা গরুগুলো দ্রুত অপসারণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গরু পাচার রোধেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।