ভারতে মৃত্যুর সাত দিন পর দেশে এল বাংলাদেশির মরদেহ

ভারতে মৃত্যুর সাত দিন পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ দেশে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে অবৈধভাবে দেশে ফেরার পথে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নির্যাতনে ২২ জানুয়ারি ওই যুবকের মৃত্যু হয়।

ওই যুবকের নাম হানেফ আলী জোয়ারদার ওরফে খোকা (৩২)। গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। হানেফ আলী জোয়ারদার যশোরের শার্শা উপজেলার অগ্রভুলোট গ্রামের শাজাহান আলী জোয়ারদারের ছেলে।

হানেফ আলী জোয়ারদারের চাচা শহিদুল ইসলাম বলেন, হানেফ আলী ঋণ করে আড়াই মাস আগে দুবাই যান। সেখানে তিনি থাকতে পারেননি। এক মাস আগে তিনি দেশে ফেরেন। দায়দেনা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই তাঁর ঝগড়া হতো। গত ২০ জানুয়ারি তিনি স্ত্রীর ওপর রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর অবৈধভাবে তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মধ্যমগ্রামে তাঁর মামার বাড়িতে যান। গত ২২ জানুয়ারি সকালে তিনি সেখান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ভারতের বন্যাবাড়ীয়া সীমান্তে তিনি বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন। এ সময় বিএসএফ তাঁর ওপর অমানুষিক নির্যাতন করে। এতে হানেফ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২২ জানুয়ারি বেলা দুইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।

২১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন, খুলনার অগ্রভুলোট বিজিবি ক্যাম্পের অধিনায়ক নায়েব সুবেদার মোফাজ্জেল হোসেন বলেন,‘মরদেহ দেশে আনার জন্য ভারতের ডুবারপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছিল। তাঁরা কোনো ডকুমেন্ট ছাড়াই মরদেহ ফেরত দিতে চেয়েছিলেন। পরে তাঁরা হানেফ আলী জোয়ারদারের মরদেহ ফেরত দেননি। শুনেছি বৃহস্পতিবার দুপুরে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে তাঁর মরদেহ দেশে এসেছে।’

বেনাপোল স্থলবন্দরের অভিবাসন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খোরশেদ আলম বলেন, বলে দুইটা ১০ মিনিটে হানেফ আলী জোয়ারদারের মরদেহ পেট্রাপোল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন হয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনে আসে। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর পরিবারের সদস্যরা তাঁর মরদেহ নিয়ে যান।