কেরানি তৈরির শিক্ষা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয়ের বার্ষিকী ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ছবি: প্রথম আলো
সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয়ের বার্ষিকী ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ছবি: প্রথম আলো

সরকার সমন্বিত পাঠ্যক্রম ও পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে আধুনিক যুগোপযোগী শিক্ষাধারায় নতুন প্রজন্মকে যুক্ত করতে চায় বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন, কেরানি তৈরির শিক্ষা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শিক্ষায় কোনো বৈষম্য থাকবে না। এ নিয়ে সরকারের চিন্তা-ভাবনা আছে। বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের খাবার দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারে ব্যাপক সাফল্য রয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পৃথক দুটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের বার্ষিকী ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। সুনামগঞ্জে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ এই দুটি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

সকাল ১১টায় প্রথমে শহরের সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয় মাঠের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) সাংসদ পীর ফজলুর রহমান, সুনামগঞ্জ ও সিলেট সংরক্ষিত আসনের নারী সাংসদ শামীমা শাহরিয়ার, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। এখানে স্বাগত বক্তব্য দেন সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফয়েজুর রহমান।

এরপর মন্ত্রী শহরের সরকারি এসএসসি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজ মো. মাশহুদ চৌধুরী। এখানে অন্যান্যের মধ্যে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নীলিমা চন্দ, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সময়কে গুরুত্ব দিতে হবে, বাহুল্য বর্জন এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে মিতব্যয়ী হতে হবে শিক্ষার্থীকে।

অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শিশুরা পরিবারে যত বেশি ভালো শিক্ষা পাবে, সেটি পরবর্তী জীবনে তাদের বেশি কাজে লাগবে। তাই পরিবার থেকেই শিশুদের আলোকিত মানুষ হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে।