ওসিসহ তিন পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

চাঁদাবাজির অভিযোগে যশোরের অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলামসহ তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার যশোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি গ্রহণ করে আদেশের অপেক্ষায় রেখেছেন।

যশোরের অভয়নগর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের গাজী ইউসুফ আকাশের স্ত্রী ফারজানা ইয়াসমিন মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অপর দুই আসামি হলেন উপজেলার পাথালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ রায় ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামরুজ্জামান।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, অভয়নগর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের আমির আলী গাজীর ছেলে আবুল কালাম ঢাকাতে থেকে ব্যবসা করেন। সম্প্রতি তিনি নিজের বাড়িতে ফেরেন। এর মধ্যে পাথালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই দেবাশীষ ও এএসআই কামরুজ্জামান ওই বাড়িতে গিয়ে বলে আসেন, ‘আবুল কালামকে বাড়িতে থাকতে হলে ওসি সাহেবকে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে’। এরপর ভয়ে আবুল কালাম বাড়ি থেকে নীরবে চলে যান। পরে পুলিশ আবার ওই বাড়িতে গিয়ে আবুল কালামকে না পেয়ে তাঁর ভাই ইউসুফ আকাশকে আটক করে। ভয়ে আকাশের বাবা আমির আলী গাজি গত ৩০ ডিসেম্বর থানায় গিয়ে ওসি তাজুলকে এক লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে আসেন। দাবিকৃত বাকি ৪ লাখ টাকা দিতে ব্যর্থ হলে পুলিশ ইউসুফ আকাশকে চাঁদাবাজির একটি পেন্ডিং মামলায় আদালতে চালান দেয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। এর মধ্যে আকাশ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান।

গতকাল বৃহস্পতিবার ইউসুফ আকাশের স্ত্রী ফারজানা বাদী হয়ে পুলিশের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী কাজী ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘যশোর আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদৎ হোসেন মামলাটি গ্রহণ করে আদেশের অপেক্ষায় রেখেছেন। আগামী রোববার মামলাটির আদেশ দেওয়ার দিন রয়েছে।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভয়নগর থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদা দাবির অভিযোগ সত্য নয়। মামলার বাদী ফারজানা ইয়াসমিনের স্বামী ইউসুফ আকাশ এলাকার একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ। তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। অজ্ঞাত আসামি পরিচয়ের একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আকাশের স্ত্রী আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন। এ অভিযোগে আমিও অবাক হয়েছি।’