এসআইয়ের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল মা ও নবজাতকের

রেললাইনের পাশে জন্ম নেওয়া নবজাতককে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার এসআই আলাউদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
রেললাইনের পাশে জন্ম নেওয়া নবজাতককে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার এসআই আলাউদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

রেললাইনের পাশে জন্ম হয় ফুটফুটে এক শিশুর। নবজাতকটি তখনো জড়িয়ে আছে মায়ের নাড়ির সঙ্গে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন। এক নারীর সহায়তায় কাটা হয় নবজাতকের নাড়ি। এরপর দ্রুত মা ও নবজাতককে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচান তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে আজ শুক্রবার সকালে নগরের ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট রেলওয়ে ডক ইয়ার্ড এলাকায়। বর্তমানে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন মা ও নবজাতক।

এসআই আলাউদ্দিন জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে টহল ডিউটিতে যাওয়ার পথে দেওয়ানহাট ডক ইয়ার্ডের কাছে একটি শিশুর কান্না শুনে লোকজন জড়ো হয়েছে খবর পান। খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে ছুটে যান। গিয়ে রক্তমাখা সদ্য ভূমিষ্ঠ একটি কন্যা সন্তান এবং অদূরেই পরিত্যক্ত রেলের বগির ভেতর আনুমানিক ত্রিশ বছর বয়সী এক নারীকে দেখতে পান। পরে রহিমা আক্তার নামের এক নারীর সহায়তায় নবজাতকটির নাড়ি কাটা হয়। নবজাতকের মা মানসিক ভারসাম্যহীন। তার নাম রীনা ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছেন না।

আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মহিউদ্দিন আজিজী শুক্রবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, মা ও শিশু দুজনই সুস্থ আছে। সময়মতো হাসপাতালে আনা না হলে অনেক ক্ষতি হয়ে যেত। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী দুর্বল থাকায় তাঁকে রক্ত দেওয়া হয়েছে।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং অঞ্চল) সীমা চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটির মা মানসিক ভারসাম্যহীন ও ভবঘুরে হওয়ায় কোথাও বেশি ক্ষণ থাকতে চান না। কোথাও যাওয়ার জায়গাও নেই। ফুটপাতে থাকলে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এ কারণে আপাতত বেশ কিছুদিন হাসপাতালে রাখা হবে।