'৫ মিনিটে কার্জন হল এলাকা না ছাড়লে খবর আছে'

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডভুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকার ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কার্জন হল কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের মোট ৮ পোলিং এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে ৷ আজ শনিবার সকালে ভোট শুরু হওয়ার পর তাঁদের বের করে দেওয়া হয়।

বিষয়টি মৌখিকভাবে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনের সমর্থকেরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল শাখা ছাত্রদলের নেতা এ কে এন এম রাশেদ আল-আমীনের নেতৃত্বে সকালে কার্জন হল কেন্দ্রে গিয়েছিলেন ধানের শীষের প্রার্থীর চারজন পোলিং এজেন্ট। প্রথম আলোর কাছে আল-আমীনের অভিযোগ, ‘কেন্দ্রের ভেতর গিয়ে বসতেই শাহবাগ থানা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ইব্রাহিম রাসেল আমাদের কক্ষের বাইরে ডেকে নেন। তিনি আমাদের বলেন, ‘পাঁচ মিনিটের মধ্যে কার্জন হল এলাকা না ছাড়লে খবর আছে। তখন আমরা ভয়ে বেরিয়ে যাই।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম জানান, ক্যাম্পাস এলাকার দুই ভোটকেন্দ্র থেকে ধানের শীষের ৮ জন এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে ৷ এর মধ্যে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল কেন্দ্র থেকে ৪ জন আর কার্জন হল কেন্দ্র থেকে ৪ জনকে বের করে দেওয়া হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক এ বি এম ওবায়দুল ইসলামের নেতৃত্বে সকাল পৌনে নয়টার দিকে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ জানান বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাকের সমর্থকেরা।

এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছি ৷ পরবর্তী পরিস্থিতি কী হতে যাচ্ছে, বুঝতে পারছি না।

এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কিংবা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের প্রচারের দায়িত্বে থাকা কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ছাত্রলীগের এক শীর্ষ নেতা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সকাল আটটা থেকে ঢাকার দুই সিটিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকালে ঢাকা দক্ষিণের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এখানকার প্রায় সব কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি হাতে গোনা। সব কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগের শতাধিক করে নেতা-কর্মী ৷ প্রতিটি কেন্দ্রের সামনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের তথ্য সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে, অন্য কারও নেই ৷