কাউন্সিলর প্রার্থীরাই ভোটার টানছেন

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সাতারকুল দীন মোহাম্মদ বালিকা দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোটারদের সারি। ছবি: মোর্শেদ নোমান
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সাতারকুল দীন মোহাম্মদ বালিকা দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোটারদের সারি। ছবি: মোর্শেদ নোমান

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সাতারকুলের চারটি কেন্দ্র সকাল আটটা থেকে ঘুরে দেখা গেল, নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থীদের সমর্থকদের চেয়ে দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের তৎপরতাই বেশি।

সাতারকুল একসময় ইউনিয়ন পরিষদ ছিল। ২০১৭ সালে ইউনিয়নটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে যুক্ত হয়। গত বছর এই সিটির মেয়র পদে যখন উপনির্বাচন হলো, তখন এখানে কাউন্সিলর পদে প্রথম নির্বাচন হয়। আজ আবার সিটি করপোরেশনের ভোটে নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করতে নেমেছেন সাতারকুলের মানুষ।

সকাল আটটা থেকে সাতারকুলের চারটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেল, দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের তৎপরতাই বেশি। চারটি কেন্দ্র হলো সাতারকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দীন মোহাম্মদ বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, জয় অ্যার্ড হোপ স্কুলের দুটি কেন্দ্র। সব কটি কেন্দ্রেই বিএনপির মেয়র পদের প্রার্থীর এজেন্ট পাওয়া গেল।

এ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী শফিকুল ইসলাম। প্রতীক ঠেলাগাড়ি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী দলেরই বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল মতিন। প্রতীক লাটিম। সম্পর্কে দুজন আবার চাচাতো ভাই। আগে সাতারকুল যখন ইউনিয়ন ছিল, তখন এর চেয়ারম্যান ছিলেন আবদুল মতিন। গত বছর যখন এ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচন হলো, তখন শফিকুল ইসলাম কাউন্সিলর হন।

কেন্দ্রগুলোতে শফিকুল ইসলামের সমর্থকেরা হলুদ টি-শার্ট, হলুদ টুপি পরে ঘুরছেন। আর মতিনের সমর্থকদের গায়ে সাদা টি–শার্ট, মাথায় একই রঙের টুপি। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের গায়ের টি-শার্ট ও টুপির রং ভিন্ন, সেখানে থাকা প্রতীকও ভিন্ন। কিন্তু কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রতীকের ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকলেও দুই দলের সমর্থকদের পোশাকেই এক অভিন্ন প্রতীক আছে, সেটি নৌকা।

দেখা গেল, দুই প্রার্থীর সমর্থকেরা ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসছেন। তাঁদের কেউ কেউ বলেন, ভোটারদের একেবারে বাড়ি থেকে নিয়ে আসছেন তাঁরা। কাউন্সিলর প্রার্থীদের এই সক্রিয়তার জন্যই সব কটি কেন্দ্রে ভোটারদের বড় সারি চোখে পড়ল।

চার কেন্দ্রের প্রথম এক ঘণ্টায় পুরুষ বুথে গড়ে ২৫ থেকে ৩০টি ভোট পড়েছে। অর্থাৎ দুই থেকে তিন মিনিট লেগেছে একটি ভোট দিতে। আর নারী ভোট দেওয়ার গতি আরেকটু ধীর। নারী বুথগুলোতে ১৭ থেকে ১৮টি ভোট পড়েছে গড়ে।