ভোটারদের কেন্দ্রে আসার আহ্বান আতিকুলের

ঢাকার উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে আজ শনিবার ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। ছবি: প্রথম আলো
ঢাকার উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে আজ শনিবার ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ভোটারদের কেন্দ্রে এসে নিজ নিজ ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ শনিবার সকাল সোয়া আটটার দিকে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর মেয়র প্রার্থী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

আতিকুল ইসলামের স্ত্রী শায়লা সাগুফতা ও মেয়ে বুশরা আফরীনও এই কেন্দ্রে ভোট দেন।

ভোট দেওয়ার পর গণমাধ্যমকর্মীদের আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ইচ্ছা ছিল, প্রথম ভোটটা আমি দেব। আমি দেখেছি, সিরিয়ালের প্রথম ভোটটা আমিই দিয়েছি এবং ভোট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখলাম “ভোট গৃহীত” হয়েছে বলল। হাতে কোনো কালি লাগেনি। বিষয়টি খুবই ইন্টারেস্টিং।’

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সবাইকে বলব ভোট দিতে আসেন। এই এলাকায় আমার সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা এখানে ভোট দিতে এসেছেন। আমার স্ত্রী, মেয়ে, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও আওয়ামী লীগের নেতারা এখানে ভোট দিয়েছেন। আমরা যাঁরা এ এলাকার, যাঁরা সকালে হাঁটি, তাঁরাও এখানে ভোট দিতে এসেছেন। এ জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। আমি বিজিএমইএর সভাপতি ছিলাম। কারণ, আমি যে কাজ করেছি, নৌকা যে কাজ করেছে, তার জন্য লোকজন নৌকায় ভোট দেবে। আমি মনে করি, ভোটে হার–জিত আছেই। জনগণ নৌকায় ভোট দিলে সাধ্যমতো চেষ্টা করব একটি সুস্থ, সচল ও সবাই মিলে সবার ঢাকা গড়ে তুলতে।’

নির্বাচনের পর সব পক্ষকে নিয়ে কাজ করতে চান বলে জানান মেয়র প্রার্থী।

সকালে ভোট শুরু হওয়ার আগে ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে উত্তর সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান (ঠেলা গাড়ি প্রতীক) তাঁর নির্বাচনী এজেন্টদের নিয়ে ঢুকলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আফসার উদ্দিন খানের কর্মীরা মোস্তাফিজুর রহমানসহ এজেন্টদের মারধর করেন এবং বের করে দেন। সে সময় সেখানে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ছিলেন। তাঁরা মোস্তাফিজুর রহমান ও আফসার উদ্দিন খানের লোকজনদের বের করে নিয়ে যান। তখন কেন্দ্রে আফসার উদ্দিন খান ও তাঁর স্ত্রী আসমা হাবিব ছিলেন।

৮টা বাজার ৫ মিনিট আগে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরা কেন্দ্রে ঢোকেন। এর কিছু সময় পর কেন্দ্রে আসেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।

আতিকুল ইসলাম ভোট দিতে এলে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মারধরের বিষয় তাঁকে (আতিকুল ইসলাম) জানান।

এ বিষয়ে আতিকুল ইসলাম সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘আমি যখন এসেছি, তখন মারধর করতে দেখিনি। মোস্তাফিজুর রহমান আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। যা ঘটেছে, আপনারা দেখেছেন। এটাই বাস্তবতা। আমি মোস্তাফিজুর রহমানকে বলেছি বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলব।’

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, আমি মোস্তাফিজুর রহমানকে বুকে জড়িয়ে ধরেছি। আমি মনে করি, এমনই হওয়া উচিত। আসুন, আমরা সবাই মিলে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করি।’

কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকার বিষয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে আমি যখন এসেছি, তখন এলাকার সবাই ছিলেন। আমি মনে করি, আস্তে আস্তে সবাই যাঁর যাঁর ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে চলে যাবেন।’

নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল ও কলেজে চারটি কেন্দ্র। এর দুটি পুরুষ এবং দুটি নারী ভোটারদের। এই চার কেন্দ্রে মোট ৯ হাজার ৬৭১ জন ভোটার। ১০টা পর্যন্ত পাঁচ শর কম ভোট পড়েছে। এঁদের মধ্যে নারী ভোটারদের ভোট এক শর কম।