এজেন্টদের টিকে থাকার সামর্থ্য থাকতে হবে: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। ফাইল ছবি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। ফাইল ছবি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ভোটকেন্দ্রে বিভিন্ন প্রার্থীর এজেন্টদের টিকে থাকার সামর্থ্য থাকতে হবে। একজন বলল যে বেরিয়ে যাও, আর তাতেই বেরিয়ে গেল, তাহলে তো ম্যানেজ করা কঠিন। এজেন্টদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার পরামর্শ দেন সিইসি।

ঢাকার দুই সিটির ভোটে বিভিন্ন কেন্দ্রে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন। আজ শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীন উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের আই ই এস মডেল স্কুল কেন্দ্রে তিনি ভোট দেন। এরপর তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন।

আজ দুই সিটিতে বিএনপির দুই প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাঁদের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে সিইসিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, শুধু অভিযোগ করলে তো হবে না। অভিযোগ করে চুপ থাকলে হবে। এমন ঘটনা ঘটলে তারা তো প্রথমে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করবে। এরপর বাইরে এসে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আসবে বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এসে অভিযোগ করবে। তাদের কাছে সাহায্য চাইবে।

আজ কম ভোটার উপস্থিতি নিয়ে নিজের অসন্তুষ্টির কথা জানান সিইসি। তবে ভোটের সার্বিক অবস্থা নিয়ে তাঁর সন্তুষ্টির কথা বলেন তিনি।

আজ সিইসি যে কেন্দ্রে ভোট দিলেন সেখানেও ভোটার উপস্থিতি ছিল অপেক্ষাকৃত কম। এই কম উপস্থিতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নূরুল হুদা বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতি এখন পর্যন্ত ভালো না। দেখলাম ২৭৬ জন ভোটার এসেছেন। এখন সকাল। বেলা বাড়ার সঙ্গে নিশ্চয়ই আসবে।’

ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ কী কমিশন মানুষের মনে আস্থা স্থাপন করতে পারেনি—এমন প্রশ্নে সিইসির জবাব, ‘ভোটার আনার পেছনে প্রার্থী এবং যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাদের দায়িত্বই বেশি। আমরা পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। আমাদের দায়িত্ব ব্যবস্থাপনার। সেটি আমরা সম্পন্ন করেছি। আমাদের দিক থেকে প্রস্তুতির কোনো অভাব নেই। ’

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমি আসার পথে একটি কেন্দ্র ঘুরেছি। দেখলাম ভোটাররা আসছে, ভোট দিচ্ছে। তবে উপস্থিতি কম ছিল। তবে সকাল নয়টার দিকে অবশ্য।’
ইভিএমের ব্যাপারে মানুষের ইতিবাচক সাড়া আছে।

এক সাংবাদিক কয়েকটি কেন্দ্রে মারামারি ও গোলাগুলির ঘটনা তুলে ধরে বলেন, এমন ভোট কমিশন চেয়েছিল কি না। জবাবে সিইসি বলেন, ‘না, এমন ভোট চাইনি, চাই না। এ ধরনের পরিস্থিতি হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আমাদের নির্দেশ আছে, তারা যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। যারা ভোটার, প্রার্থী বা তাদের সবার প্রতি আমার আহ্বান, তারা যেন পরিস্থিতি শান্ত রাখে।’