অনেকের আঙুলের ছাপ মিলছে না

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে ইভিএমে। বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্র, ঢাকা, ১ ফেব্রুয়ারি। ছবি: আবদুস সালাম
ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে ইভিএমে। বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্র, ঢাকা, ১ ফেব্রুয়ারি। ছবি: আবদুস সালাম

বয়স্ক ও শ্রমজীবী মানুষের ইভিএমে ভোট দিতে বেশি অসুবিধা হচ্ছে। অনেকবার চেষ্টা করার পরও অনেকের আঙুলের ছাপ মিলছে না।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মিরপুর উদয়ন উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ইউসুফ আলী আজ শনিবার সকাল ৮টায় ভোটকক্ষ ৫-এ ভোট দিতে আসেন। পেশায় ঝালমুড়ি বিক্রেতা ইউসুফ কয়েকবার চেষ্টা করার পরও ভোট দিতে পারেননি। পরে আবার বেলা সাড়ে ১১টায় আসেন। তখনো ফিঙ্গার প্রিন্ট না মেলায় সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের সহায়তায় ভোট দেন তিনি।

এই কক্ষে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৬৭। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৩টি। এর মধ্যে ৪ জন প্রিসাইডিং অফিসারের সহায়তায় ভোট দিয়েছেন। এ ছাড়া আরও ৫ জনকে হাত ধুয়ে আবার আসতে বলা হয়েছে। এই কেন্দ্রের অন্য বুথেও এমন অবস্থা।

হক পেদা (৫৩) ঝুটের কারখানায় কাজ করেন। তিনিও একই সমস্যায় পড়েছেন।

আবার মিরপুর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭৩ বছর বয়সী এক নারী ফিঙ্গার প্রিন্ট না মেলায় ভোট না দিয়েই চলে গেছেন। তিনি বলেন, ‘এত ভোট দিছি। কোনো দিন এমন হয় নাই। এহন বুড়া বয়সে ভোট দিতে পারলাম না।’

এক প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বলেন, নারী, বয়স্ক ও শ্রমজীবী মানুষের ভোট দিতে বেশি সমস্যা হচ্ছে। শীতের কারণেও হয়তো আঙুলের রেখা মিলছে না।

বেশ কিছু কেন্দ্রে ভেসলিন লাগিয়ে, হাত ধুয়ে ও টিস্যু ব্যবহার করে ফিঙ্গার প্রিন্ট মেলাতে চেষ্টা করতে দেখা গেছে।