বকশীবাজারে ককটেল বিস্ফোরণ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

বকশীবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ছবি: আহমেদ দীপ্ত
বকশীবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ছবি: আহমেদ দীপ্ত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বকশীবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী ও বিএনপির প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৮টি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। প্রায় ২০ মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল।

এই কেন্দ্রে সকাল থেকেই আওয়ামী মনোনীত প্রার্থী ওমর বিন আবদাল আজিজ তামিম ও তাঁর সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি মিষ্টিকুমড়া মার্কায় দাঁড়িয়েছেন। সকাল থেকেই তাঁর সমর্থকেরা তাতখানা লেনে দাঁড়িয়েছিলেন। বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটের দিকে এই ওয়ার্ডে বিএনপির প্রার্থী শাহেদা মোরশেদের সমর্থকেরা কেন্দ্রের পেছনে নাজিমুদ্দিন রোডের দিকে উপস্থিত হন। তাঁরা কেন্দ্রের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এ সময় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীদের দিকে বিএনপির সমর্থকেরা ঢিল ছুড়লে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের মধ্যে ঢিল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় নিয়ে যেতে দেখা যায়। এ সময় আটটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। কেন্দ্রে তখন ভোটারদের বড় একটি লাইন ছিল। ভোটাররা দিগ্‌বিদিক ছুটে যান। ভোট গ্রহণ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী আতাউর রহমান বলেন, ‘বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থকেরা প্রথমে ককটেল ফাটায়। একটার পর একটা। কাউন্সিলর তামিমের চাচাতো ভাই জিনাত আলী জিন্নুকে ইট মেরে তারা আহত করে। পুরো এলাকা থমথমে করে ফেলছে। সুষ্ঠু পরিবেশে এখনো কেউ ভোট দিতে পারেনি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী শাহেদা মোরশেদ বলেন, ‘আমার ছেলেরা এগুলো কিছু করেনি। আমরা আতঙ্কে ছিলাম। ওরা আমাদের আগে ইট মেরেছে। ককটেলের আওয়াজ পেয়েছি আমরা। এভাবে চললে কীভাবে আমরা ভোট দেব।’

এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এদিকে ঝামেলা হয়েছিল। ভোট গ্রহণ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি বুঝে আবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

ঘটনার পরপরই চলে আসেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসিনা ইসলাম। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘সকাল থেকেই এই কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে বহিরাগতদের অনেক আনাগোনা ছিল। তবে আমাদের মূল চিন্তা ভোটকেন্দ্র। কেন্দ্রের ভেতরের অবস্থা ঠিক আছে। বাইরের বিষয়টা হলো প্রার্থীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। একে অন্যকে দোষ দিচ্ছে।’