বাটন চেপে ভোটটি দিলেন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিটি

আশরাফাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে দুজন। কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা, ১ ফেব্রুয়ারি। ছবি: আবদুস সালাম
আশরাফাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে দুজন। কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা, ১ ফেব্রুয়ারি। ছবি: আবদুস সালাম

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে আজ শনিবার বেলা একটার দিকে ভোট দিতে এসেছিলেন এক ব্যক্তি। কিছুক্ষণ পরে বুথ থেকে বের হয়েই চিৎকার শুরু করেন তিনি। অল্প সময়ের মধ্যে তাঁকে ঘিরে কিছু মানুষ জড়ো হলো, একটা হইচই অবস্থা।

জানা গেল, ওই ব্যক্তি ভোট দেওয়ার সব কাজ করেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে আঙুলের ছাপও দিয়েছিলেন। তবে ভোট দেওয়ার বাটনে চাপ দিতে পারেননি, পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি বাটন চাপ দিয়ে তাঁর ভোট দিয়ে দিয়েছেন। এমন কাজে হতবাক তিনি, বের হয়ে এসে অভিযোগ করতে থাকেন।

নাম পরিচয়ে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি জানান, পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একজন তাঁর ভোট বাটন চেপে দিয়ে দিয়েছেন।

সকাল থেকে বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রাপুর কমিউনিটি সেন্টার কেন্দ্রটির ভেতরে আওয়ামী লীগের অন্তত ৮০ জন নেতা-কর্মী সকাল থেকেই অবস্থান নেন। সিটি কলেজ, আইডিয়াল স্কুল কেন্দ্রে গিয়েও দেখা যায় কোথাও বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীর কোনো এজেন্ট নেই।

সংসদ ভবনের উল্টো দিকে রাজধানী স্কুলে প্রকাশ্যে ভোট দিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে জানান দুজন ভোটার। তাঁদের অভিযোগ, সব প্রক্রিয়া শেষ করার পর বাটন চাপার সময় অন্য ব্যক্তি এসে ভোটারদের একটি প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করেন। ওই দুজন ভোটার জানান, এটা দেখে তাঁরা ভোট না দিয়েই চলে এসেছেন।

নির্বাচনে বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেনও এ–সংক্রান্ত অভিযোগ নিজ নিজ এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দিয়েছেন।