সর্বোচ্চ জায়গা থেকে নির্বাচনকে প্রভাবিত করলে আর কিছু থাকে না: আমীর খসরু

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ফাইল ছবি
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন চলাকালে সকালের দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন মেয়র প্রার্থীকে পাশে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য, ওনার প্রার্থীর পক্ষে, ওনার দলের পক্ষে—প্রার্থীকে পাশে রেখে দেশের প্রধানমন্ত্রী যেটা করেছেন, এটা নির্বাচনী বিধি শুধু ভঙ্গ নয়, এটা দেশে একটা রাজনীতির জন্য খারাপ উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে।

আজ শনিবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) অভিযোগ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন আমীর খসরু। এর আগে তাঁর নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন অভিযোগ দেয়।

আমীর খসরু বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ জায়গা থেকে নির্বাচনকে প্রভাবিত যদি এভাবে করা হয় এরপর তো আর কিছু থাকে না। ক্যান্ডিডেটকে কাছে নিয়ে তাদের ভোট চায় ও বক্তব্য দেয়। এরপর তো নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে মেসেজ পাচ্ছে, তাদের তো আর কিছু করার থাকে না। দেশের সর্বোচ্চ জায়গা থেকে নির্বাচনকে যদি এভাবে প্রভাবিত করা হয়, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে না।’

খসরু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমরা ইভিএম নিয়ে অনেক কথা বলেছি। ইভিএম নিয়ে বিতর্ক এমন জায়গায় এসেছে যে জনগণ ভোটও দিতে যাচ্ছে না। কারণ, পুরো নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর অনাস্থা সৃষ্টি করার জন্য ইভিএমের অনেক বড় ভূমিকা সেটা আজ প্রমাণিতও হয়েছে।’

আমীর খসরু আজকে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ভোটারদের ভোট দেওয়া প্রসঙ্গে অভিযোগ করেন, আঙুলের ছাপ নেওয়ার পর অনেককে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর হয়তো আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বাটন টিপে দিচ্ছে, না হয় দলের অন্য কেউ নিজেদের প্রতীকে ভোট দিয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ভোটাররা বাইরে এসে কিন্তু বলেছে। আমার কাছ থেকে আঙুলের ছাপ নিয়ে আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। বাকিটা (ভোট) তারা দিয়েছে।’

আমীর খসরু অভিযোগ করে বলেন, ‘ধর্ষণের ভয় দেখিয়ে ১২ জন নারী এজেন্টকে বের করে দিয়েছে। পারতপক্ষে এজেন্ট তো ঢুকতেই পারেনি। যারা ঢুকেছে, তাদের মারধর করে বের করে দিয়েছে। সাংবাদিকেরাও দেখেছে তাদের কীভাবে অসম্মান করা হয়েছে। কীভাবে তাদের অপদস্থ করা হয়েছে। ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। মারধর করেছে। এমনকি অনেক জায়গায় সাংবাদিকদের একসেস (ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি) দেওয়া হয়নি।’

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর পরপরই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। ভোটারদের মনে তারা আস্থা সৃষ্টি করতে পারেনি। এর জন্য কেন্দ্রে ভোটার কম ছিল।