৫ বাংলাদেশিকে থানায় পাঠিয়ে বিএসএফের দুঃখ প্রকাশ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্ত থেকে পাঁচ বাংলাদেশিকে আটক করে ভারতের থানায় পাঠানোর পর আজ শনিবার বিকেলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রাজশাহী-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ।

এই পাঁচজন হলেন রাজন হোসেন (২৫), সোহেল রানা (২৭), কাবিল হোসেন (২৫), শাহীন আলী (৩৫) ও শফিকুল ইসলাম (৩০)। তাঁদের সবার বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার গহমাবোনা গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে গোদাগাড়ীর খরচাকা সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশের ভেতর থেকে পাঁচ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। গতকাল বিকেলে ভারতের মদনপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যদের সঙ্গে বিজিবির পতাকা বৈঠক হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, ওই বৈঠকে বিএসএফ সদস্যরা কোনো বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ নিয়ে আজ শনিবার সকালে আবারও পতাকা বৈঠকের কথা দেন তাঁরা। পরে আজ সকালের বৈঠক তাঁরা বাতিল করেন। অবশ্য বিকেল পাঁচটায় বৈঠকটি হয়।

বিজিবি রাজশাহী-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বিএসএফ কোনো বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে। আজ বিকেল পাঁচটায় নিরমলচর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যদের সঙ্গে ৩৫ মিনিট বৈঠক হয়। এই বৈঠকে বিএসএফ স্বীকার করে যে ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় গরু চুরির উদ্দেশে ঢুকে পড়ায় তাঁরা পাঁচ বাংলাদেশিকে আটক করেছেন। বিজিবির পক্ষ থেকে গুগল মানচিত্র দেখিয়ে প্রমাণ দেওয়া হয় যে ওই পাঁচ বাংলাদেশিকে বাংলাদেশের ভেতর থেকে আটক করা হয়েছে। তখন তাঁরা বলেছেন, গুগল মানচিত্রে বিষয়টি বোঝা যাচ্ছে না। তারপরও যদি বাংলাদেশ থেকে তাঁদের আটক করা হয়, তার জন্য তাঁরা দুঃখিত।

বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের কাউকে সীমান্তে আটক করা হলে বিএসএফ দুই দেশের চুক্তি অনুযায়ী বিজিবিকে অবহিত করবে অথবা তাদের দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। কেন বিজিবিকে জানানো হয়নি—এ বিষয়ে জানতে চাইলেও তারা শুধু দুঃখ প্রকাশ করেন।