বিএনপিকে আওয়ামী লীগের ধন্যবাদ

মাহবুব উল আলম হানিফ। ফাইল ছবি
মাহবুব উল আলম হানিফ। ফাইল ছবি

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মাঠে থাকায় বিএনপিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। আজ শনিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের পক্ষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এ ধন্যবাদ জানান।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি দাবি করায় তাঁর কঠোর সমালোচনা করেন হানিফ। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল যে অভিযোগগুলো করেছেন, সেগুলো আগেই থেকেই লিখে রেখেছিলেন। নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন তিনি।

অনেক কেন্দ্রে ধানের শীষের প্রতীক ছিল না, ফখরুলের এই অভিযোগকে হাস্যকর বলে উল্লেখ করেন হানিফ। তিনি বলেন, এমন অভিযোগের সত্যতা কোথাও পাওয়া যায়নি।

আজকের ইভিএমে যে নির্বাচন হয়েছে, গত ১০০ বছরে এ রকম অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

মোহাম্মদপুরে একটি কেন্দ্রে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে হানিফ বলেন, ‘খবর পেয়েছি আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা নয়, বরং বিএনপি–সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাংবাদিককে আহত করেছে।’

ফখরুলের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহারের মাধ্যমে নৌকার প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করার চেষ্টা হয়েছে—এটা চরম মিথ্যাচার। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলকে বলব, এই উক্তির পেছনে প্রমাণ হাজির করবেন, না হলে ক্ষমা চাইতে হবে।’

তবে নির্বাচনে ভোট কম পড়েছে স্বীকার করে হানিফ বলেন, টানা সরকারি ছুটি এবং গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অনেক ভোটার ভোট দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি, এ কারণে প্রত্যাশার চেয়ে কম ভোট হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে দৃষ্টি দেবে বলে আশা করি।’

বিএনপি বারবার নির্বাচনকে আন্দোলনের অংশ বলায়ও ভোটার সংখ্যা কম হতে পারে বলেও মনে করেন হানিফ।

বিএনপির অনেক বড় নেতা ও সাবেক মন্ত্রীরা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিলেও জনপ্রতিনিধি হওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতারা বঞ্চিত হয়েছেন বলে জানান তিনি। ভবিষ্যতে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ সংশোধনের মাধ্যমে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হবে বলে আশাও প্রকাশ করেন তিনি।

এ সময় অন্যদের মধ্যে হাছান মাহমুদ, দীপু মনি, বাহাউদ্দীন নাসিম, বিএম মোজাম্মেল হক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।