নিখোঁজ নয়, আত্মগোপন করেছিলেন সেই শিক্ষক

সুলতানুজ্জামান হেলাল
সুলতানুজ্জামান হেলাল

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর নিখোঁজ স্কুলশিক্ষক মো. সুলতানুজ্জামান হেলালকে (৫০) আজ রোববার উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, তিনি অপহরণ হননি, ঋণের দায় থেকে বাঁচতে এবং প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আত্মগোপন করে ‘নাটক’ সাজান।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ধনবাড়ীর আরএনজি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক সুলতানুজ্জামান হেলাল নিখোঁজ হন। তাঁর অফিস কক্ষ থেকে তাঁর ব্যবহৃত রক্তাক্ত মুঠোফোন উদ্ধার করে পুলিশ। অফিস কক্ষেও ফোঁটা ফোঁটা রক্ত পড়ে ছিল

পুলিশ জানায়, আজ সকালে সুলতানুজ্জামানের ছেলে ফোনে পুলিশকে জানায়, তাঁর বাবাকে টাঙ্গাইল শহরের টিঅ্যান্ডটি অফিস এলাকায় দেখে এক লোক তাঁদের জানায়। পরে এই তথ্য পুলিশ সুপারকে জানানোর পর তিনি গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল পাঠিয়ে সুলতানুজ্জামানকে উদ্ধার করে ডিবি অফিসে আনেন। পরে সুলতানুজ্জামানকে ধনবাড়ী থানা-পুলিশের কাছে দেওয়া হয়।

ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওমি) চান মিয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সুলতানুজ্জামান জানিয়েছেন, সহর আলী প্রি-ক্যাডেট স্কুল নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে ওই শিক্ষক আরএনজি প্রি-ক্যাডেট স্কুল চালু করেন। চার বছরেও স্কুলটি লাভজনক হয়নি। তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অনেক টাকা ঋণ করেন। নতুন স্কুল প্রতিষ্ঠা করায় সহর প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক সহর আলীর সঙ্গে তাঁর বিরোধ হয়। ঋণ থেকে বাঁচতে এবং সহর আলীকে ‘বিপদে ফেলতে’ নিজেই আত্মগোপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে অপহরণের ‘নাটক’ সাজান। নিজের অফিস কক্ষে মুরগির রক্ত ছিটিয়ে রেখে এবং তাঁর মুঠোফোন রক্তে মাখিয়ে অফিসে ফেলে রেখে চলে যান।

সুলতানুজ্জামান নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর পরিবার দাবি করে, তাঁকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর শ্বশুর মজিবর রহমান বাদী হয়ে গত শুক্রবার ধনবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন।