প্রেমের বিয়ের পর লাশ হলেন পলি, স্বামী কারাগারে

পলি খাতুন ও তাঁর স্বামী মামুন হাওলাদার
পলি খাতুন ও তাঁর স্বামী মামুন হাওলাদার

রাজধানীর মিরপুর এলাকায় পলি খাতুন (১৮) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনায় করা মামলায় তাঁর স্বামীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন।

ওই আসামির নাম মামুন হাওলাদার (২৬)। তাঁর গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার ভাজনা কদমতলা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুস সোবহান হাওলাদার।

গতকাল শনিবার ভোরে রাজধানীর মিরপুর এলাকার আহম্মেদনগর পাইকপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূ পলির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত পলির মা নিরু বেগম বাদী হয়ে মামুন হাওলাদারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন।

মামলায় নিরু বেগম বলেন, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি মামুন হাওলাদারের সঙ্গে পলির বিয়ে হয়। প্রেমের সম্পর্কের পর পারিবারিকভাবে তাঁদের বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিয়ের পর সাংসারিক নানা কারণে তাঁর মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া হতো মামুনের। গত শনিবার ভোরে মামুন ফোন দিয়ে তাঁকে বলেন, ‘পলিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’ এর কিছুক্ষণ পর আবার মামুন ফোনে বলেন, ‘পলি আত্মহত্যা করেছে।’

এদিকে নিহত পলির বোন রেমিজা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বোন পলিকে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর বোনের গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুন্সি সহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে পলি খুন হয়েছেন, নাকি আত্মহত্যা করেছেন। প্রতিবেদন পাওয়ার আগপর্যন্ত এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

পলির বোন রেমিজা খাতুন বলেন, ‘আমার নিষ্পাপ বোনকে মেরে ফেলল মামুন হাওলাদার। নীরবে সবকিছু সহ্য করে আসছিল পলি। কিন্তু মামুন তাকে বাঁচতে দিল না। মামুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’