ফেনীতে পুরোনো সিলেবাসের প্রশ্নপত্রে নতুন ৬৬ জনের পরীক্ষা

নতুন সিলেবাসে পরীক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও ফেনীর ফাজিলপুর ডব্লিউ বি কাদরী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে আজ সোমবার ৬৬ পরীক্ষার্থীকে পুরোনো সিলেবাসের প্রশ্নপত্র দিয়ে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় এই কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে।

বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ৭০ নম্বর সৃজনশীল এবং ৩০ নম্বর নৈর্ব্যক্তিক। কেন্দ্রের ৬৬ জন নিয়মিত পরীক্ষার্থীকে আজ ২০১৮ সালের পুরোনো সিলেবাসে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা দিতে হয়েছে। নৈর্ব্যক্তিকের ৩০ নম্বর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিলিতে সমস্যা হয়। পরীক্ষাকেন্দ্রের দুটি কক্ষে এ বিভ্রাট ঘটেছে। ওই দুই কক্ষে নতুন সিলেবাসের ৬৬ জন পরীক্ষার্থী ২০১৮ সালের পুরোনো সিলেবাসের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছে।

কয়েকজন পরীক্ষার্থী অভিযোগ করে, পুরোনো সিলেবাস তাদের পড়া ছিল না। ফলে তারা ৩০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার বৃত্ত ভরাট সঠিকভাবে করতে পারেনি। প্রশ্ন হাতে পাওয়ার পর এ বিষয়ে তারা দাঁড়িয়ে প্রতিবাদও করেছিল।

শিবপুর আর বি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হালিম বলেন, পরীক্ষা শেষে তাঁর বিদ্যালয়ের কয়েকজন পরীক্ষার্থী পুরোনো প্রশ্নপত্রে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে বলে তাঁকে জানিয়েছে। তিনি বিষয়টি কেন্দ্র সচিবকে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব হারুনুর রসিদ বলেন, প্রশ্নপত্র বিলির পর বৃত্ত ভরাটের সময় পুরোনো সিলেবাসের প্রশ্নপত্র বিলির বিষয়টি ধরা পড়ে। ভুলের বিষয়টি তাৎক্ষণিক কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে জানানো হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পরামর্শ অনুযায়ী ওই ৬৬টি উত্তরপত্র আলাদাভাবে বোর্ডে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী সলিম উল্যাহ বলেন, ভুলের বিষয়টি কুমিল্লা বোর্ড কর্তৃপক্ষের নজরে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের কোনো ধরনের ক্ষতির কারণ নেই। ফলাফলেও এর প্রভাব পড়বে না।