সস্ত্রীক সাবেক সাংসদ আউয়ালকে আবার দুদকে তলব

এ কে এম এ আউয়াল
এ কে এম এ আউয়াল

পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ এ কে এম এ আউয়াল ও তাঁর স্ত্রী লায়লা পারভীনকে আবার তলব করেছে দমন কমিশন (দুদক)। সরকারি জমি দখল করে বাড়ি-বাংলো নির্মাণের অভিযোগে আউয়ালের বিরুদ্ধে তিনটি মামলার তদন্ত এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য এবার তাঁদের তলব করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংসদ ও তাঁর স্ত্রীকে ৯ ফেব্রুয়ারি সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে চিঠি দিয়েছেন উপপরিচালক মো. আলী আকবর।

খাসজমিসহ সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ ও দখলের অভিযোগে গত ৩০ ডিসেম্বর আউয়ালের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে দুদক। একটি মামলার এজাহারে বলা হয়, এ কে এম এ আউয়াল অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ছয়জন ভুয়া ব্যক্তিকে ভূমিহীন দেখিয়ে খাসজায়গা ইজারা নেন। পরে ওই জমিতে স্ত্রী লায়লা পারভীনের নামে তিনতলা ভবন তৈরি করে তা পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে ভাড়া দেন। এ মামলায় আসামি করা হয় আউয়াল ও তাঁর স্ত্রীকে।

আরেক মামলার এজাহারের তথ্যমতে, স্বরূপকাঠি উপজেলার ডাকবাংলোর কাছে খাসজমি অবৈধভাবে দখল করে আধুনিক ডাকবাংলো নির্মাণ করেছেন সাবেক এই সাংসদ। পিরোজপুর শহরের খুমুরিয়া মৌজার রাজার পুকুর নামে পরিচিত ৪৪ শতাংশ খাসজমির চারদিকে দেয়াল নির্মাণ করে তা দখলে রাখার অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়।

এসব মামলার অভিযোগ অনুসন্ধান পর্যায়ে গত বছরের ১১ জুলাই দুদকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আউয়ালকে।

মামলা করার আগের সপ্তাহে ২৪ ডিসেম্বর এই দম্পতির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয় দুদক। এ ছাড়া সাবেক এই সাংসদ ও তাঁর স্ত্রীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টিও অনুসন্ধান চলছে দুদকে।

পিরোজপুর-১ আসন থেকে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে সাংসদ হন আউয়াল। তবে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। তাঁর জায়গায় মনোনয়ন পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন বর্তমান গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।