ধর্ষণকারীদের ক্রসফায়ারের দাবি থেকে সরলেন সাংসদ ফিরোজ

ফিরোজ রশীদ
ফিরোজ রশীদ

ধর্ষণকারীদের বন্দুকযুদ্ধে হত্যার দাবি থেকে সরে এসেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি এবার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণকারীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ এই দাবি জানান।

ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে কঠোর আইন করার দাবি জানান কাজী ফিরোজ। তিনি বলেন, সাক্ষীর অভাব ও বিচারে দীর্ঘসূত্রতার কারণে ধর্ষণের শাস্তি হয় না। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ৯০ দিনের মধ্যে বিচার করে শাস্তি দিতে হবে।

এর আগে ধর্ষণকারীদের বন্দুকযুদ্ধে হত্যা করার দাবি জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন কাজী ফিরোজ। বলেছিলেন, প্রচলিত আইনে ফাঁসিতে গণধর্ষণ থামানো যাবে না। মানুষ তাৎক্ষণিক বিচার চায়। বিভিন্ন মহলে তাঁর এই বক্তব্যের সমালোচনা হয়।

এ প্রসঙ্গে কাজী ফিরোজ আজ বলেন, তিনি আবেগতাড়িত হয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি কঠোর শাস্তি চেয়েছিলেন। কিছু মানবাধিকারকর্মী এই বক্তব্য নিয়ে অনেক বাহাস করেছেন। তিনি মানবাধিকারকর্মীদের সমালোচনা করে বলেন, শিশু রাসেলকে যখন হত্যা করা হয়েছিল, তখন এসব মানবাধিকারকর্মী একটি কথাও বলেননি।

ব্যাংক খাতে অনিয়ম তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে কমিশন গঠন করার দাবি সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, অর্থ খাতে দুর্নীতির কারণে উন্নয়নের সফলতা ম্লান হয়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে ব্যাংক খাতে। একজন বিচারপতির নেতৃত্বে কমিশন করে তদন্ত করে দেখা হোক কারা জনগণের গচ্ছিত টাকা নিয়ে গেছে।

কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, এটা সত্য যে দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প দৃশ্যমান হয়েছে। টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছে, এ কারণে উন্নয়ন করতে পারছে সরকার।

জাপার এই সাংসদ দাবি করেন, সরকারের উন্নয়নের পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান জাপার। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জাপা না গেলে নির্বাচন হতো না। তাহলে সরকার হতো না। গণতন্ত্র, সংবিধান থাকত না।