পিটিয়ে ও ফাঁস দিয়ে গৃহবধূকে হত্যা, স্বামী-ননদ রিমান্ডে

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় রোকসানা আক্তার (৪০) নামের এক নারীকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে তাঁর স্বামী ও ননদকে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

দুই আসামি হলেন রেজাউল ইসলাম রেজা (৫০) ও তাঁর বোন রিনা আক্তার (৪২)। আদালত রেজাউলের দুই দিন এবং রিনার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

যাত্রাবাড়ী থানা-পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ সোমবার এ আদেশ দেন। যাত্রাবাড়ী থানা-পুলিশ এ দুই আসামিকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

গত ৩১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে যাত্রাবাড়ী এলাকার ভাড়া বাসা থেকে রোকসানার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রোকসানার ভাই রাজু আহমেদ বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।

রাজু আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বোন রোকসানাকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে আসামিরা।’

মামলায় রাজু আহমেদ বলেন, তেইশ বছর আগে রেজাউল ইসলামের সঙ্গে রোকসানার বিয়ে হয়। এই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে। বিয়ের পর দেবর সোহেল, শাশুড়ি রিজিয়া বেগম ও ননদ রিনা আক্তারের প্ররোচনায় তাঁর বোনকে যৌতুকের জন্য রেজাউলকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। তাঁর বোন সন্তানের কথা চিন্তা করে নীরবে অত্যাচার সহ্য করে আসছিলেন। গত ৩১ জানুয়ারি রাতে আসামিরা মিলে তাঁর বোনকে পিটিয়ে জখম করে। পরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে।

আদালতকে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়ে বলছে, আসামিরা সবাই মিলে রোকসানাকে পেটায়। পরে গলায় ফাঁস লাগায়। দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলেও পলাতক রয়েছেন আরও দুজন। রোকসানা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার।

যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহীনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর রোকসানার মৃত্যুর রহস্য জানা সম্ভব হবে। তবে মামলায় বাদীপক্ষের অভিযোগ, যৌতুকের কারণে নির্যাতন করে রোকসানাকে হত্যা করা হয়েছে।