এসএসসি: প্রথম দিনে অনুপস্থিত ১২৯৩৭, কোনো কোনো কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র বিতরণে ভুল

সারা দেশে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। বরিশাল নগরের কালীবাড়ি রোডে অবস্থিত বিএম স্কুল কেন্দ্র। ছবি: সাইয়ান
সারা দেশে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। বরিশাল নগরের কালীবাড়ি রোডে অবস্থিত বিএম স্কুল কেন্দ্র। ছবি: সাইয়ান

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনে আজ সোমবার সারা দেশে ১২ হাজার ৯৩৭ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এ ছাড়া অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ২২ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে এই পরীক্ষায় দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র বিতরণে ভুলভ্রান্তির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা খবর পাঠিয়েছেন।

আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় উপকমিটি জানিয়েছে, অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ১ হাজার ৮২৫ জন, রাজশাহীতে ৬৫৩ জন, কুমিল্লায় ৪৯৯ জন, যশোরে ৫৩৬ জন, চট্টগ্রামে ৪০০ জন, সিলেটে ৩৫৮, বরিশালে ৩৫৪ জন, দিনাজপুরে ৪৭০ জন এবং ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে ৩৫৩ জন। এ ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে ৪ হাজার ৮০৬ জন ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে ২ হাজার ৬৮৪ জন অনুপস্থিত ছিল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় দাখিল পরীক্ষার একটি কেন্দ্রে প্রশ্নের উত্তরপত্র তৈরি করে সরবরাহ করার দায়ে পাঁচ মাদ্রাসা শিক্ষককে দুই বছর করে কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার জন্য কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মোট সাড়ে তিন হাজার কেন্দ্রে এই পরীক্ষা হচ্ছে। মোট পরীক্ষার্থী প্রায় সাড়ে ২০ লাখ। তবে প্রথম দিনে পরীক্ষার্থী ছিল ১৭ লাখ ৬৬ হাজার ৬০৩ জন। পরীক্ষা দেখতে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আজ রাজধানীর তেজগাঁও সরকারি গার্লস স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

বরিশাল নগরের হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২০ জনের পরীক্ষা নেওয়া হয় পুরোনো শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে। তাদের ২০১৯-২০২০ সালের সিলেবাসে পরীক্ষা হওয়ার কথা। পরীক্ষা শেষে বিষয়টি নজরে আসার পর কান্নায় ভেঙে পড়ে পরীক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র, লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র, নীলফামারীর রাবেয়া বালিকা বিদ্যানিকেতন কেন্দ্র, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রসহ সারা দেশে অন্তত আটটি কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র বিতরণে ভুলের ঘটনা ঘটে। মূলত নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের পুরোনো সিলেবাসে প্রণয়ন করা প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। কোথাও কোথাও এই ভুল প্রশ্নপত্রেই পরীক্ষা নেওয়া হয়। আবার কোথাও কোথাও পুনরায় নির্ধারিত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়।

(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট এলাকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিগণ)