রোহিঙ্গা শিবিরে সন্ত্রাসীদের গুলি, আহত ১৩

কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা শিবিরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ১৩ জন আহত হয়েছেন। সোমবার রাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নে নোয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের মো. শওকত (১৯), বশির আহমেদ (৩২), আবুল হোসেন (২২), মো. হোসেন (২৩), মো. হাসান, (২৪), আব্দুল গনি (২৪), মো. জুবায়ের (১৮), জিয়াদুল হক (১২) ও মো. ফারুক (৮)। আহত বাকি চারজনের নাম প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।

সন্ত্রাসীদের গুলিতে ১৩ জন রোহিঙ্গা আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্জ) উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মনির প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ভীত না হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

পুলিশ ও রোহিঙ্গা সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে কাপড় ব্যবসায়ী নূর নবীর কাছে চাঁদা দাবি করে জকির ও আমান উল্লাহসহ রোহিঙ্গা সশস্ত্র একটি সন্ত্রাসী দল। এ সময় তাঁদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। এতে ১৩ জন রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে নয়াপাড়া গণস্বাস্থ্য ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নয়জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি চারজন ওই ক্লিনিকেই চিকিৎসাধীন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা জানান, নয়াপাড়া জাদিমোরা শালবাগান, জাদিমোরা ও লেদা রোহিঙ্গা শিবির সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানা রয়েছে। প্রায়ই সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গা শিবিরে এসে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়। তাদের কারণে সাধারণ রোহিঙ্গারা আতঙ্কিত অবস্থায় জীবনযাপন করছে। কোনো কোনো সময় রোহিঙ্গাদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করা হচ্ছে। এমনকি রোহিঙ্গা দলনেতা, পল্লি চিকিৎসক, প্রহরী ও সাধারণ রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যার ঘটনাও ঘটছে।