'গেস্টরুম করানো' নিয়ে ঢাবির হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের হাতাহাতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল।

নবীন শিক্ষার্থীদের ‘গেস্টরুম করানো’ নিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের কর্মীরা। একপর্যায়ে একটি পক্ষের কর্মীরা রড ও স্ট্যাম্প নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিলেও হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নাজমুল হাসান ও সাহিত্য সম্পাদক মো. ফাহিম হাসানের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।

সোমবার রাত ১১টার দিকে বিজয় একাত্তর হলের গণ রুমে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতির এই ঘটনা ঘটে।

‘গেস্টরুম করানো’ হচ্ছে ছাত্রলীগের নবীন কর্মীদের ‘ম্যানার’ শেখানোর একটি কর্মসূচি। সাধারণত হলের অতিথিকক্ষে জ্যেষ্ঠ নেতা-কর্মীরা কনিষ্ঠদের ‘ম্যানার’ শেখান বলে এর নাম ‘গেস্টরুম’। তবে কখনো কখনো গণ রুম বা হলের অন্য কোনো কক্ষেও ‘গেস্টরুম করানো’ হয়। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচির মুখোমুখি হতে হয়।

দুই পক্ষের হাতাহাতির সময় ঘটনাস্থলে থাকা দুই শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, লেখক ভট্টাচার্যের পক্ষের নেতা-কর্মীরা সাধারণত রাত সাড়ে আটটায় ‘গেস্টরুম’ করালেও সোমবার সেই সময় পরিবর্তন করে সাড়ে দশটায় ‘গেস্টরুম’ করান। কিন্তু ওই সময়টিতে বিজয় একাত্তর হলে আল নাহিয়ান খানের পক্ষের নেতা-কর্মীরা ‘গেস্টরুম’ করিয়ে থাকেন।

বিজয় একাত্তর হলের ছাত্ররা জানান, সোমবার রাতে আল নাহিয়ানের পক্ষের নেতা-কর্মীরা নির্ধারিত সময়ে ‘গেস্টরুম’ করাতে গিয়ে লেখকের পক্ষের নেতা-কর্মীদের দেখতে পান। লেখকের অনুসারীরা আল নাহিয়ানের অনুসারীদের ঘণ্টাখানেক বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখলে একপর্যায়ে তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে টিভিকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা হাতাহাতিতে জড়ান। লেখকের অনুসারীরা রড ও স্ট্যাম্প নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিলেও ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত হল সংসদের জিএস নাজমুল হাসান ও সাহিত্য সম্পাদক মো. ফাহিম হাসানের মধ্যস্থতায় শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এ বিষয়ে বিজয় একাত্তর হল সংসদের জিএস নাজমুল হাসান সোমবার মধ্যরাতে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ও হল সংসদের সাহিত্য সম্পাদকের মধ্যস্থতায় এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে তিনি দাবি করেন, ‘গেস্টরুম করানো’ নিয়ে নয়, বরং টিভি দেখা নিয়ে দুই পক্ষের কর্মীরা হাতাহাতিতে জড়িয়েছিলেন।

এ ঘটনায় বক্তব্য জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মুঠোফোনে কল করা হলেও তাঁদের সাড়া পাওয়া যায়নি।