পুলিশ সদস্যদের মারধরের মামলায় নবনির্বাচিত কাউন্সিলর কারাগারে

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

পুলিশ সদস্যদের মারধরের মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেনসহ আটজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো আট আসামি হলেন কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেন, তাঁর ছেলে জুনায়েদ হোসেন, মারুফুর রহমান, মিন্টু গাজী, মোখলেসুর রহমান, আলমগীর হোসেন, সরদার এবং মোস্তাফিজুর রহমান।

পুলিশের খিলগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার জুলফিকার আলী গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তারের পর আজ মঙ্গলবার সকালে সাখাওয়াত হোসেনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আজ সকালে আদালতে কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেনসহ আটজনের পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। জামিন শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু আদালতকে বলেন, সাখাওয়াত হোসেন নবনির্বাচিত কাউন্সিলর। এলাকায় তাঁর জনপ্রিয়তা আছে বলেই তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। পুলিশ মামলায় যে অভিযোগ করেছে, তা ঠিক নয়।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার পল্লীমা সংসদের সামনে দুজন পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর করার অভিযোগ আনা হয় কাউন্সিলরসহ আট আসামির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মজিদ কাউন্সিলর সাখাওয়াতসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় এই মামলা করেন।

মামলায় এজাহারে বলা হয়, গতকাল সন্ধ্যায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহের জন্য এসআই আবদুল মজিদ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামাল, সিস্টেম এনালিস্ট আবদুস সাত্তারসহ অন্যরা খিলগাঁও পল্লীমা সংসদের কাছে অবস্থান করছিলেন। তখন সাখাওয়াত হোসেনসহ কয়েকজন তাঁদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চান। তখন তাঁরা নিজেদের পরিচয় দেন। কিন্তু কাউন্সিলরসহ বাকিরা পুলিশ সদস্যদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। এ সময় কাউন্সিলর ও তাঁর সঙ্গীরা অতর্কিতভাবে পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করেন এবং এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাঁরা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

সাখাওয়াত হোসেনের আইনজীবী হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেন পুলিশকে মারধর করেননি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাই তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আদালতে জামিন চাইলেও আদালত তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।