যশোরে খাবারের খোঁজে হোটেলে লক্ষ্মীপ্যাঁচা

যশোরে খাবারের খোঁজে একটি হোটেলে ঢুকে পড়ে লক্ষ্মীপ্যাঁচাটি। ছবি: প্রথম আলো
যশোরে খাবারের খোঁজে একটি হোটেলে ঢুকে পড়ে লক্ষ্মীপ্যাঁচাটি। ছবি: প্রথম আলো

খাবারের সন্ধানে যশোরের একটি হোটেলে ঢুকে পড়ে একটি লক্ষ্মীপ্যাঁচা। এ সময় হোটেলের এক কর্মচারী লক্ষ্মীপ্যাঁচাটিকে ধরে ফেলেন। পরে ক্যাফে প্রেসক্লাব হোটেলের কর্মচারীরা লক্ষ্মীপ্যাঁচাটিকে বন বিভাগের কর্মীদের হাতে তুলে দেন।

যশোর শহরের ক্যাফে প্রেসক্লাবের কর্মী তাইজেল হোসেন বলেন, আজ মঙ্গলবার সকাল ছয়টার দিকে কাজে এসে তিনি হোটেলের রান্নাঘরে যান। এ সময় রান্না ঘরের কোনায় বড় বড় চোখের একটি প্রাণী তিনি দেখতে পান। প্রাণীটিকে দেখে ভয়ে আঁতকে ওঠেন। পরে তিনি বুঝতে পারেন প্রাণীটি আসলে প্যাঁচা। এরপর তিনি প্যাঁচাটি আটকে রাখেন। হোটেলে আসা অতিথিদের পরামর্শে বন বিভাগে খবর দেওয়া হয়। পরে বন বিভাগের দুজন কর্মী গিয়ে প্যাঁচাটি নিয়ে যান। খাবারের খোঁজে প্যাঁচাটি হোটেলের রান্নাঘরে ঢুকেছিল বলে তাঁরা ধারণা করছেন।

যশোর সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ফরেস্টার মো. হাবিবুজ্জামান বলেন, ধূসর বর্ণের প্যাঁচাটি লক্ষ্মীপ্যাঁচা হিসেবে বেশি পরিচিত। এটি বিরল প্রজাতির লক্ষ্মীপ্যাঁচা। এই প্রাণীর দৈহিক বৈশিষ্ট্যের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো বড় বড় গোল চোখ আর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি। মাথা ঘুরিয়ে এরা প্রায় পুরোপুরি পেছনের দিকেও তাকাতে পারে। তীক্ষ্ণ দৃষ্টির কারণে রাতের অন্ধকারেও শিকার ধরতে তাদের কোনো অসুবিধা হয় না। এরা ছোট ছোট প্রাণী, যেমন: ইঁদুর, শুঁয়াপোকা, ছোট পাখি, টিকটিকি, ঢোঁড়া সাপ, ব্যাঙসহ বিভিন্ন কীটপতঙ্গ খেয়ে জীবন ধারণ করে। শিকার ধরতেই হয়তো প্যাঁচাটি হোটেলের রান্নাঘরের কোনায় গিয়েছিল। এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, প্যাঁচা দিনের আলো সহ্য করতে পারে না। ফলে সকাল হওয়ায় সে আর ফিরে যেতে পারেনি। বিকেলে বন বিভাগ চত্বরের বাগানে প্যাঁচাটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।