গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত নিহত ৩৮

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে অদক্ষতা ও অসচেতনতার কারণে সংঘটিত বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৩৮ জন নিহত এবং ৭২ জন আহত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিধিমালা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে কি না, তা যাচাইয়ের জন্য সিলিন্ডার মজুতের স্থান, সিলিন্ডার পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়মিতভাবে পরিদর্শন করা হচ্ছে। নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া এই বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিএনপির গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, গত পাঁচ বছরে (২০১৫-১৯) ভোক্তা পর্যায়ে তিনবার গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। ২০১৭ সালের মার্চে একই আদেশে দুই ধাপে মূল্য সমন্বয় করা হয়। গ্যাসের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই।

সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, দিনাজপুরের হাকিমপুরের ইসবপুর এলাকায় কূপ খননকালে ১ হাজার ৩৩৪ ফুট থেকে ২ হাজার ৭৩ ফুট গভীরতা পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে চুম্বকীয় পদার্থের সন্ধান পাওয়া যায়। একই এলাকার ভাদুরিয়াহাটে আরও একটি কূপ খননের কার্যক্রম চলমান আছে। ওই এলাকায় ৮ থেকে ১০টি কূপ খনন সম্পন্ন হলে এর বিস্তৃতি, মজুত ও উত্তোলন–সম্পর্কিত ধারণা পাওয়া যায়।

সরকারি দলের শাহে আলমের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বিসিকের আওতায় বিদ্যমান ৭৬টি শিল্পনগরীতে ৫ হাজার ৮৭৭টি শিল্প ইউনিটের অনুকূলে ১০ হাজার ২০২টি শিল্প প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মালিকানা দ্বন্দ্ব, ব্যবস্থাপনা ও বিপণন সমস্যা, আর্থিক সংকট, মামলা ইত্যাদি কারণে ৫৮১টি শিল্প রুগ্‌ণ বা বন্ধ অবস্থায় আছে।