দেশে ফিরতে চান যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা আনিস, গ্রেপ্তার এড়াতে করা রিট খারিজ

যুবলীগের বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সুমি রহমান দেশে ফিরতে চান। দেশের পৌঁছার পর বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার এড়াতে ও হয়রানি ছাড়াই নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য নির্দেশনা চেয়ে তাঁদের পক্ষে হাইকোর্টে করা হয় রিট। এই রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত সেপ্টেম্বরে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর গত ১১ অক্টোবর আনিসুর রহমানকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। অভিযানের সময় তিনি পলাতক বলে অভিযোগ ওঠে।

পরে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কাজী আনিসুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সুমি রহমানের বিরুদ্ধে গত ২৯ অক্টোবর পৃথক দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় আনিসের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং সুমি রহমানের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

ওই মামলায় আনিস দম্পতিকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার না করতে এবং নিম্ন আদালত আত্মসমর্পণের জন্য সময় বেঁধে দিতে নির্দেশনা চেয়ে তাঁদের পক্ষে গত ২৭ জানুয়ারি জনৈক আহসান মোর্শেদ নিদল ওই রিট করেন।

রিট আবেদনের তথ্য, মেডিকেল ভিসা নিয়ে আনিসুর রহমান গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ভারতে যান। তাঁর স্ত্রী কলকাতায় অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস ও নাজমুল হাসান রাকিব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও এম এ আজিজ খান। পরে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস প্রথম আলোকে বলেন, যখন ওই মামলা হয়, তখন আনিস দম্পতি দেশে ছিলেন না। তাঁরা দেশে ফিরে নিম্ন আদালত আত্মসমর্পণ করতে চান। তবে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করার আশঙ্কা করছেন তাঁরা, সে কারণে ওই রিট করা হয়।