'জয় বাংলা' বাধ্যতামূলক করে সংসদে প্রস্তাব আনার আহ্বান

জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি

প্রত্যেক ব্যক্তিকে ‘জয় বাংলা’ বলতে হবে—জাতীয় সংসদে এমন একটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত প্রস্তাব নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ফজলে রাব্বী মিয়া এই আহ্বান জানান।

এর আগে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সাংসদ আব্দুল মতিন খসরু ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান করা নিয়ে উচ্চ আদালতে রিটের প্রসঙ্গ টানেন। তিনি বলেন, সরকারি অনেক কর্মকর্তা ‘জয় বাংলা’ বলতে জড়তায় ভোগেন।

আব্দুল মতিনের বক্তব্য শেষে স্পিকারের আসনে থাকা ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, ‘আমরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে যুদ্ধে নেমেছি। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে যুদ্ধ জয় করে আমরা দেশে ফিরেছি। সুতরাং কে বলল আর কে বলল না, তাতে কিছু যায়–আসে না। তবে আমার সকল শ্রদ্ধেয় সংসদ সদস্যদের কাছে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিনয়ের সঙ্গে আবেদন রাখতে চাই, এই পার্লামেন্টে একটা সিদ্ধান্ত প্রস্তাবে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হোক যে, সকল ব্যক্তিকে জয় বাংলা বলতে হবে।’

আব্দুল মতিন খসরু তাঁর বক্তব্যের একপর্যায়ে ‘ম্যাডাম স্পিকার’ সম্বোধন করেন। এ সময় স্পিকারের আসনে ছিলেন ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি কিছুটা ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘আই অ্যাম নট ম্যাডাম স্পিকার’। পরে আব্দুল মতিন তাঁর এই সম্ভোধনের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘আই অ্যাম রিয়েলি সরি, ইউ ক্যান নট স্পিক ইন দিস ওয়ে।’

আব্দুল মতিন খসরু তাঁর বক্তব্যে বলেন, বুয়েটে একজন ছাত্রকে মেধাবী হত্যাকারীরা হত্যা করল। তাঁকে পানি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এ ঘটনা লজ্জাজনক। প্রতিনিয়ত নারীর প্রতি নৃশংসতা হচ্ছে। এসব প্রতিরোধের উপায় বের করতে হবে। তিনি সাক্ষ্য আইন সংশোধন করে ঘটনার ভিডিওকে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করার বিধান যুক্ত করার দাবি জানান।

ধর্ষকের যৌনক্ষমতা হ্রাস করানোর দাবি

জাতীয় পার্টির সাংসদ নুরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, প্রতিনিয়ত ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। ধর্ষকদের শাস্তির জন্য ইনজেকশন পদ্ধতি চালু করা দরকার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট একটা পদ্ধতি চালু করেছেন, ধর্ষক ধরা পড়লে তাঁর শরীরে ইনজেকশন দিয়ে যৌনক্ষমতা হ্রাস করে দেওয়া হয়। এখানেও ইনজেকশন দিয়ে যৌনশক্তি হ্রাস করে দিতে হবে। তাহলে আর ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটবে না।

জুনে ঢাকা-শিলিগুড়ি ট্রেন

আলোচনায় রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, সড়কপথের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে রেলপথের উন্নয়নে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে বরিশাল, খুলনা-মোংলা পর্যন্ত রেলপথ উন্নয়নে কাজ চলছে। ভারতের সঙ্গে রেলযোগাযোগ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী জুনে ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা হবে।

অন্যদের মধ্যে সরকারি দলের সাংসদ সাহারা খাতুন, সৈয়দা জাকিয়া নূর, এবাদুল করিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।