চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন দুই স্ক্যানার, ঘণ্টায় স্ক্যান হবে ৩০০ কন্টেইনার

চট্টগ্রাম বন্দর। প্রথম আলো ফাইল ছবি
চট্টগ্রাম বন্দর। প্রথম আলো ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে আজ মঙ্গলবার যুক্ত হয়েছে আরও দুটি নতুন স্ক্যানার। এই দুটি স্ক্যানারের মাধ্যমে ঘণ্টায় ৩০০ কন্টেইনার স্ক্যান করা যাবে। চট্টগ্রাম বন্দরকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থের (জিসিবি) ১ নম্বর গেট এবং নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ৩ নম্বর গেটে বসানো হয়েছে নতুন দুটি ‘এফএস-৬০০০’ সিরিজের অত্যাধুনিক ফিক্সড কনটেইনার স্ক্যানার।

আজ দুপুরে স্ক্যানার দুটি উদ্বোধন করেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এ সময় তিনি বলেন, ‘মূলত বন্দরের কাজ হচ্ছে কনটেইনার হ্যান্ডেলিং। আমরা এখানে কেবল সহায়ক ভূমিকা রাখি। এই স্ক্যানারগুলো আমদানি ও রপ্তানিকাজে ব্যবহৃত কনটেইনার স্ক্যান করতে সক্ষম। এ ছাড়া নতুন দুটি স্ক্যানারের মাধ্যমে এর প্রতিটি এক ঘণ্টায় ১৫০ কনটেইনার করে মোট ৩০০ কন্টেইনার স্ক্যান করতে সক্ষম হবে। তবে এসব কীভাবে কাজে লাগানো হবে, তা বন্দর কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করবে।’

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এ ধরনের স্ক্যানারে জৈব, অজৈব, ধাতব, প্লাস্টিক, বিভিন্ন পণ্যের রঙের স্ক্যান ইমেজ (ছবি) পাওয়া যাবে। তাই স্ক্যান করা কনটেইনারের পণ্যের পার্থক্য নিরূপণ ও সঠিকতা যাচাই সহজ ও দ্রুততর হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমোডর এম শফিউল বারী বলেন, ‘আমরা বন্দরকে আরও গতিশীল করার জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করছি। এর মাধ্যমে আমরা বন্দরের কনটেইনার, ট্রাকসহ সবকিছু একটি সিস্টেমেটিক শিডিউলে নিয়ে আসতে সক্ষম হব।’

বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার টার্মিনালের (সিসিটি) ২, ৪ ও ৫ নম্বর গেটে একটি করে ফিক্সড কনটেইনার স্ক্যানার (এফএস ৩০০০) এবং সিসিটি ২ ও জিসিবি ২ নম্বর গেটে মোবাইল স্ক্যানার রয়েছে। তবে দুটি স্ক্যানার পুরোনো হওয়ায় মাঝেমধ্যে সচল থাকে না বলে চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানিয়েছে।

বন্দর সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দর কনটেইনার হ্যান্ডেলিং করেছিল ২৯ লাখ ৩ হাজার। আর ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ লাখ ৮৮ হাজারে।